প্রিডেটর ড্রোন। ছবি রয়টার্স।
শত্রুপক্ষের নজরদারি ফাঁকি দিতে মাটির মাত্র আড়াইশো মিটার উপর দিয়ে উড়তে পারে। ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে পারে ২,০০০ কিলোমিটার দূরের ‘নিশানায়’। এ বার বিশ্বের সবচেয়ে প্রাণঘাতী সেই ড্রোন— ‘প্রিডেটর এমকিউ-৯বি’ ভারতকে দিতে চলেছে আমেরিকা। বৃহস্পতিবার ভারতকে ৩১টি প্রিডেটর ড্রোন দেওয়ার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে জো বাইডেনের সরকার।
কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর, ভারতীয় সেনার জন্য প্রায় ৩৯৯ কোটি ডলার (প্রায় ৩৩,১১৬ কোটি টাকা) খবর করে কেনা হবে প্রিডেটর সিরিজের আধুনিকতম সংস্করণ। লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় চিনের সঙ্গে বিবাদের আবহে যা সেনার পক্ষে অত্যন্ত কার্যকরী হবে বলে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশের অনুমান।
প্রায় ছ’বছর আগে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের জমানায় প্রিডেটর কেনার বিষয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। বছর দেড়েক আগেই এ বিষয়ে ‘ইতিবাচক’ সমঝোতায় পৌঁছেছিল দু’পক্ষ। প্রিডেটর ড্রোনের নির্মাতা সংস্থা জেনারেল অ্যাটোমিক্স গ্লোবাল কর্পোরেশনের মুখ্য আধিকারিক বিবেক লাল ২০২২-এর শেষপর্বে জানিয়েছিলেন, এই ড্রোন নিয়ে ভারত ও আমেরিকার সরকারের মধ্যে কথাবার্তা প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। গত জুন মাসে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের উপস্থিতিতে ‘প্রতিরক্ষা ক্রয় পর্ষদ’ (ডিফেন্স অ্যাকিউজিশন কাউন্সিল)-এর ড্রোন কেনার বিষয়ে চুক্তি সইয়ের আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত হয়েছিল।
তালিবান প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা মহম্মদ ওমর, তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের প্রধান বায়তুল্লা মেহসুদ, সিরিয়ার আল কায়দা প্রধান সেলিম আবু আহমেদ থেকে হালফিলে ইরানের জেনারেল কাশেম সোলেমানি এবং আল কায়দা প্রধান আয়মান আল জাওয়াহিরি হত্যায় ব্যবহার করা হয়েছিল এই ‘এমকিউ রিপার ড্রোন’। আমেরিকার এই হানাদার ড্রোন ‘এমকিউ-৯ রিপার’ নামে পরিচিত। ৫০ হাজার ফুট উচ্চতায় ২৭ ঘণ্টা ধরে একটানা ওড়ার ক্ষমতা রয়েছে এই ড্রোনের। সর্বোচ্চ বহন ক্ষমতা ১,৭৪৬ কিলোগ্রাম। আমেরিকা ছাড়া সম্প্রতি এই প্রিডেটর ড্রোন ব্যবহার করছে ইতালি, ফ্রান্স ও স্পেনের বিমানবাহিনী।