Indian Air Force

ছোট কিন্তু ভয়ঙ্কর ধ্বংসাত্মক! বালাকোট অভিযানে ব্যবহৃত আরও ১০০ স্পাইস বোমা কিনছে বায়ুসেনা

জরুরি ভিত্তিতে বরাত দেওয়া হয়েছে বলে তিন মাসের মধ্যেই এই বোমাগুলি হাতে পেয়ে যাবে ভারতীয় বায়ুসেনা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০১৯ ১৩:৫৮
Share:

এই স্পাইস বোমা কিনছে ভারতীয় বায়ুসেনা। ছবি: টুইটার থেকে

পাকিস্তানের বালাকোটে জইশ ঘাঁটিতে নিখুঁত লক্ষ্যে হামলা চালিয়েছিল ভারতীয় বায়ুসেনা। একেবারে নির্দিষ্ট করে দেওয়া লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো সম্ভব হয়েছিল ‘স্পাইস বোমা’র সৌজন্যে। আকারে ছোট কিন্তু ভয়ঙ্কর ধ্বংসাত্মক এমনই আরও ১০০ স্পাইস বোমা ইজরায়েলের কাছ থেকে কিনছে ভারত। বৃহস্পতিবারই ৩০০ কোটির চুক্তি হয়েছে দু’দেশের মধ্যে। আগামী তিন মাসের মধ্যেই সেগুলি নয়াদিল্লিকে সরবরাহ করবে জেরুজালেম।

Advertisement

স্পাইস বোমার শক্তি এবং নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আঘাত হানার ক্ষমতা ভারতীয় বায়ুসেনার কাছে পরীক্ষিত। ২০১৫ সাল থেকে এই বোমা ব্যবহার করে আসছে বায়ুসেনা। তাই এ বার এই গোত্রের আরও ১০০ বোমা কিনতে ইজরায়েলের সঙ্গে বৃহস্পতিবারই চুক্তি হয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনার। বোমা পিছু খরচ পড়বে ৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ মোট ৩০০ কোটির চুক্তি। জরুরি ভিত্তিতে বরাত দেওয়া হয়েছে বলে তিন মাসের মধ্যেই এই বোমাগুলি হাতে পেয়ে যাবে ভারতীয় বায়ুসেনা।

স্পাইস বোমা কী? প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি স্পাইস বোমাগুলির কার্যকারিতা সুনির্দিষ্ট। মাটির নীচে বাঙ্কার কিংবা দুর্গের মতো করে তৈরি করা কংক্রিটের নির্মাণ ধ্বংস করতে স্পাইস বোমার জুড়ি মেলা ভার। ৬০ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে আকাশ থেকে ভূমিতে নিক্ষেপ করে লক্ষ্যবস্তুকে ধ্বংস করে দেওয়া যায়। এই বোমাগুলি ব্যবহারের জন্য যে সব আনুষাঙ্গিক সরঞ্জাম প্রয়োজন হয়, সেগুলিও সরবরাহ করে প্রস্তুতকারী সংস্থা।

Advertisement

স্পাইস বোমার সবচেয়ে বড় সুবিধা এর আকার। তুলনায় ছোট হওয়ায় বহন করা সহজসাধ্য। নিরাপদ দূরত্ব থেকে আঘাত করা যায়। এমনকি আকাশে ঘন মেঘ বা প্রচণ্ড খারাপ আবহাওয়াতেও এর কার্যকারিতা নষ্ট করতে পারে না। ফলে যে কোনও পরিবেশে শত্রুপক্ষের ঘাঁটি ধ্বংস করতে কার্যত অপ্রতিরোধ্য এই বোমাগুলি।

প্রযুক্তিগত দিক থেকেও শত্রুপক্ষের ঘাঁটি ধ্বংস করার ক্ষেত্রে স্পাইস বোমার বিকল্প খুঁজে পাওয়া কঠিন। ‘দ্য উইক’ ম্যাগাজিনের মতে, এই বোমায় রয়েছে অভ্যন্তরীণ নেভিগেশন প্রযুক্তি। তার সঙ্গে স্যাটেলাইট গাইডেড ইলেক্ট্রো-অপটিক্যাল সেন্সর থাকায় লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁত ভাবে আঘাত হানা সম্ভব। তাছাড়া প্রযুক্তিগত কারণেই এই বোমাগুলি রেডারে ধরা পড়ার সম্ভাবনাও খুব কম।

আরও পডু়ন: সারদার লাল ডায়েরি, পেনড্রাইভ কোথায়? ফের সিবিআইয়ের মুখোমুখি রাজীব কুমার

আরও পড়ুন: জঙ্গি দলে নাম লেখানোর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কাশ্মীরে সেনার গুলিতে মৃত্যু দুই প্রাক্তন এসপিও-র

নিখুঁত নিশনা, আকারে ছোট এবং প্রযুক্তিগত এই সব সুবিধার জন্যই ভারতীয় বায়ুসেনা স্পাইস-২০০০ বোমা গত প্রায় চার বছর ধরে ব্যবহার করে আসছে। ফ্রান্সের কাছ থেকে কেনা মিরাজ-২০০০ যুদ্ধবিমানের সাহায্যে এই বোমাগুলি ছোড়া যায়। শেষ ব্যবহার হয়েছে বালাকোটে জইশ জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করতে। এ বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে আত্মঘাতী জঙ্গি হানার পর ভারত-পাক যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়। সেই প্রেক্ষাপটেই ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোররাতে পাকিস্তানের বালাকোটে ঢুকে জইশ জঙ্গি ঘাঁটিতে বোমা ফেলে আসে ভারতীয় বায়ুসেনা। বায়ুসেনা জানিয়েছিল প্রায় ১০০ কেজি বোমা ফেলা হয়েছিল। সেই হামলায় এই স্পাইস বোমা ব্যবহার করার ফলেই নির্দিষ্ট লক্ষে আঘাত হানা সম্ভব হয়েছিল, মনে করেন বায়ুসেনা আধিকারিকরা।

ভারতের রাজনীতি, ভারতের অর্থনীতি- সব গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদেরদেশবিভাগে ক্লিক করুন।

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement