Indian Economy

ব্রিটেনকে ৫ বছরে, জার্মানি-জাপানকে ১০ বছরে টপকাবে ভারতের অর্থনীতি

অর্থনীতি সমীক্ষা সংস্থা ‘সেন্টার ফর ইকনমিক্স অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ’ (সিইবিআর)-এর বার্ষিক রিপোর্টে এমনই ‘ভবিষ্যবাণী’ করা হয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০২০ ১৭:২১
Share:

প্রতীকী ছবি।

ব্রিটেনকে টপকে যেতে লাগবে আর ৫ বছর। তার পরের পাঁচ বছরে একে একে অর্থনীতিতে ভারতের পিছনে পড়বে জার্মানি আর জাপান। ব্রিটেনের অর্থনীতি সমীক্ষা সংস্থা ‘সেন্টার ফর ইকনমিক্স অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ’ (সিইবিআর)-এর শনিবার প্রকাশিত বার্ষিক রিপোর্টে তেমনই ‘ভবিষ্যবাণী’ করা হয়েছে।

Advertisement

রিপোর্টে বলা হয়েছে, আর্থিক বৃদ্ধির বর্তমান ধারা বজায় থাকলে, ২০২৫ সালে ব্রিটেনকে টপকে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি হবে ভারত। আর ২০২৭ সালে জার্মানি এবং ২০৩১ সালে জাপানকে পিছনে ফেলে ভারতের অর্থনীতি বিশ্বে তৃতীয় স্থানে উঠে আসবে। সামনে থাকবে শুধু আমেরিকা আর চিন। এই দুই দেশের সঙ্গে বাকিদের ফারাকটা অবশ্য বিশাল।

অর্থনীতির মোট অঙ্কের হিসেবে বর্তমানে ভারতের স্থান ষষ্ঠ। ২০১৯ সালে ব্রিটেনকে টপকে ভারতের অর্থনীতি পঞ্চম স্থানে পৌঁছে গিয়েছিল। কিন্তু করোনা অতিমারি পরিস্থিতিতে জিডিপি (মোট জাতীয় উৎপাদন) প্রবল ধাক্কা খাওয়ায় ফের এক ধাপ নীচে নেমে গিয়েছে ভারত। বিভিন্ন দেশের বৃদ্ধির হারের হিসেব কষে সিইবিআর-এর অর্থনীতিবিদেরা জানাচ্ছেন, ২০২১ সাল থেকে ফের ভারতে আর্থিক বৃদ্ধির হার গতি পাবে। বার্ষিক রিপোর্টের পূর্বাভাস, ভারতীয় অর্থনীতি ২০২১ সালে ৯ শতাংশ এবং ২০২২ সালে ৭ শতাংশ প্রসারিত হবে।

Advertisement

অতিমারি পরবর্তী পরিস্থিতিতে ভারতে উৎপাদন ক্ষেত্রে নতুন জোয়ার আসতে পারে বলেও ব্রিটিশ সংস্থাটির রিপোর্টে বলা হয়েছে। মূলত তারই উপর ভর করে ফের চাঙ্গা হবে ভারতীয় অর্থনীতি। তা ছাড়া করোনার প্রতিষেধক বাজারে আসার পরে ভারত যদি তার জনসংখ্যার অন্তত অর্ধেক অংশের জন্য টিকার ব্যবস্থা করতে পারে, আর্থিক বৃদ্ধির ক্ষেত্রে তার প্রত্যক্ষ ইতিবাচক প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা। প্রসঙ্গত, সিইবিআর-এর বার্ষিক রিপোর্টেই জানানো হয়েছে ২০২৮ সালে আমেরিকাকে পিছনে ফেলে চিন বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠতে পারে।

২০১৬ সালে ভারতে বৃদ্ধির হার ৮.৩ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছিল। কিন্তু এর পরেই অধোগতি শুরু হয়। ২০১৮-তে ৬.১ শতাংশ থাকলেও ২০১৯-এর শেষপর্বে তা ৪.২ শতাংশে নেমে আসে। এর পর করোনা পরিস্থিতিতে জিডিপি-র পতন ঘটে। আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের অক্টোবর মাসে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে ইঙ্গিত দেওয়া হয়, অতিমারি পরিস্থিতিতে জিডিপি-র পতন ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে যেতে পারে। ফলে মাথাপিছু জিডিপি-তে বাংলাদেশও টপকে যেতে পারে ভারতকে।

আরও পড়ুন: প্রেমিকাকে খুন, ১২ বছরের জেল লিজিয়ঁ দ্য’নর জয়ী ইতিহাসবিদের

এর পরে একটি রিপোর্টে আইএমএফ জানায়, ২০২১ সালেই অর্থনৈতিক ক্ষতি অনেকটা মেরামত করে ফেলবে ভারত। তাদের মতে, সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি হতে চলেছে ৮.৮ শতাংশ।শনিবার সিইবিআর-ও সেই পূর্বাভাসই দিয়েছে।

আরও পড়ুন: রবিবার দাঁতনে শুভেন্দুর কর্মসূচি, সোমবার পাল্টা সভা তৃণমূলের

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement