নাগরোটায় উদ্ধার হওয়া অস্ত্রশস্ত্র ও বিস্ফোরক। —ফাইল চিত্র
জম্মু-কাশ্মীরের নাগরোটায় বড়সড় জঙ্গি হানার ছক কষেছিল পাক জঙ্গিরা। সেনার তৎপরতায় সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। এ বার আন্তর্জাতিক মহলকে এ নিয়ে তথ্য দিল ভারত। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য দেশের প্রতিনিধিরাও এই দলে ছিলেন। পাকিস্তান যে জঙ্গি কার্যকলাপে বরাবর মদত দেয়, তার তথ্যপ্রমাণ ওই প্রতিনিধিদের হাতে তুলে দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রকের সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা।
গত ১৯ নভেম্বর নাগরোটায় সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয় চার পাক জঙ্গি। উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র ও বিস্ফোরক। নিহতরা যে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের সদস্য, তার স্পষ্ট প্রমাণ মেলে। তার পরেই পাকিস্তানের জঙ্গিদের মদত দেওয়ার বিষয়টি আন্তর্জাতিক মহলে তুলে ধরার প্রচেষ্টা শুরু করে নয়াদিল্লি। সেই মতোই আজ মঙ্গলবার সেই সব তথ্যপ্রমাণ তুলে দেওয়া হয়েছে বলে বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে।
সাউথ ব্লক সূত্রে খবর, ভারতে বসবাসকারী বেশ কয়েকটি দেশের কূটনীতিকদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন শ্রিংলা। ওই বৈঠকেই তুলে দেওয়া হয় এই সব তথ্যপ্রমাণ। বৈঠকে উপস্থিত এক প্রতিনিধি বলেছেন, ‘‘মিশনের প্রধানদের কাছে ঘটনার (নাগরোটা) বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হয়েছে। তুলে দেওয়া হয়েছে উদ্ধার হওয়া অস্ত্রশস্ত্র ও বিস্ফোরকের তালিকা। উদ্ধার হওয়া তথ্যপ্রমাণ থেকে এটা স্পষ্ট যে, জঙ্গিরা জইশের সদস্য এবং সেটা প্রতিনিধিদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’ দু’দিন আগেই সাম্বা সেক্টরে নিয়ন্ত্রণরেখায় একটি টানেলের সন্ধান পেয়েছে ভারতীয় সেনা। সেই টানেলের বিষয়েও প্রতিনিধিদের তথ্য দেওয়া হয়েছে বলে বৈঠক সূত্রে খবর। এ ছাড়া উপত্যকায় সাম্প্রতিক জঙ্গি হানা বা হামলার পরিকল্পনা সম্পর্কেও তথ্য দেওয়া হয়েছে প্রতিনিধিদের।
আরও পড়ুন: কর্পোরেটরা ব্যাঙ্ক খুললে তছনছ হবে সব: রাজন
বিদেশ সচিবের বক্তব্য, ‘‘গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে পুলওয়ামার পর সবচেয়ে বড় হামলার পরিকল্পনা করেছিল জঙ্গিরা। জম্মু-কাশ্মীরের ডিস্ট্রিক্ট ডেভলপমেন্ট কাউন্সিল (ডিডিসি)-এর ভোটে অশান্তি সৃষ্টি করতেই এই পরিকল্পনা করা হয়েছিল। ২৬/১১-র বর্ষপূর্তির কথা মাথায় রেখেও এই হামলার ছক কষেছিল জঙ্গিরা।"
আরও পড়ুন: রাজ্যের ভোটে ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, চর্চা নির্বাচন কমিশনে
এ দিনের বৈঠকে ছিলেন না নয়াদিল্লিতে চিনের রাষ্ট্রদূত সান ওয়েডং। তবে সোমবারের এই বৈঠক ছিল প্রথম ধাপ। করোনা পরিস্থিতির জন্য অল্প কয়েকটি দেশের প্রতিনিধিদের ডাকা হচ্ছে। এর পরে এই ধরনের আরও একাধিক বৈঠক হবে। তখন চিনা প্রতিনিধিও থাকতে পারেন বলে বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর।