বাড়ছে বেকার, চাপ বাড়ছে মোদীর উপরেও

বেকারিতে লাগাম পড়েনি নরেন্দ্র মোদীর জমানায়। সরকারি তথ্যই বলছে, গত বছর প্রায় দেড় কোটি আবেদন জমা পড়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারের সাড়ে ২৪ হাজার শূন্যপদের জন্য। চলতি অর্থ বছরে পদের সংখ্যা নামমাত্র বেড়ে হয়েছে ২৫ হাজার।

Advertisement

প্রেমাংশু চৌধুরী

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০১৭ ০৪:০৭
Share:

বেকারিতে লাগাম পড়েনি নরেন্দ্র মোদীর জমানায়। সরকারি তথ্যই বলছে, গত বছর প্রায় দেড় কোটি আবেদন জমা পড়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারের সাড়ে ২৪ হাজার শূন্যপদের জন্য। চলতি অর্থ বছরে পদের সংখ্যা নামমাত্র বেড়ে হয়েছে ২৫ হাজার। আর তার জন্য আবেদনের সংখ্যা আড়াই কোটি ছাড়িয়ে যেতে চলেছে।

Advertisement

কেন্দ্রীয় সরকারের গ্রুপ ‘সি’ ও ‘ডি’-র পদে চাকরির জন্য পরীক্ষা নেয় স্টাফ সিলেকশন কমিশন। চলতি অর্থ বছরে ৮টি আলাদা পরীক্ষার মাধ্যমে ওই ২৫ হাজার পদে নিয়োগ হবে। কমিশনের হিসেব, এ পর্যন্ত ২ কোটি ১৭ লক্ষ আবেদন এসেছে। অর্থ বছরের শেষে সংখ্যাটা আড়াই কোটি ছাড়াতে পারে। অথচ ২০১৫-’১৬-তে ২৪ হাজার ৬০৪ জনের চাকরি হয়েছিল। আবেদন পড়েছিল ১ কোটি ৪৮ লক্ষের কিছু বেশি। এখানেই চিন্তা বেড়েছে মোদী সরকারের। এক বছরের মধ্যেই একই সংখ্যক পদের জন্য প্রায় ১ কোটি প্রার্থী বেড়ে যাওয়ায় এটা স্পষ্ট যে, বেসরকারি ক্ষেত্রে যথেষ্ট চাকরির সুযোগ তৈরি হচ্ছে না। ২০১৪-য় লোকসভা ভোটের প্রচারে মোদী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ক্ষমতায় এলে বছরে ১ কোটি চাকরি হবে। কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন, ‘‘১ কোটি দূরে থাক। ২০১৬-য় মাত্র দেড় লক্ষ চাকরি হয়েছে। এটা শ্রম মন্ত্রকেরই হিসেব।’’

বিজেপি বলছে, সমস্যার মূলে মনমোহন জমানা। তখন আর্থিক বৃদ্ধির হার বাড়লেও চাকরি হয়নি। ২০০৮-’০৯-এ এসএসসি-র মাধ্যমে প্রায় ৩০ হাজার চাকরি হয়েছিল। আবেদন এসেছিল ১০ লক্ষের বেশি। ১০ বছরেই আবেদনকারীর সংখ্যা ২০ গুণ বেড়েছে। আর এখন প্রতি মাসে নতুন ১০ লক্ষ বেকার যুবক-যুবতী চাকরি খুঁজতে বাজারে নামছেন।

Advertisement

এখনও কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী বন্দারু দত্তাত্রেয়র দাবি, ‘‘সরকার ২০২০ সালের মধ্যে ৫ কোটি চাকরির ব্যবস্থা করবে।’’ এমন প্রতিশ্রুতি এখন আর কতটা ভরসাযোগ্য, আবেদনকারীর সংখ্যা থেকেই তা বেশ স্পষ্ট।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement