প্রতীকী ছবি।
করোনার নতুন প্রজাতি নিয়ে দেশে ক্রমশ উদ্বেগ বাড়ছে। ব্রিটেন থেকে বহু যাত্রী ফেরার পর উদ্বেগটা এক ধাক্কায় আরও বাড়েছে। নতুন এই প্রজাতিকে কী ভাবে চিহ্নিত করা হবে এবং তা থেকে সংক্রমণ ঠেকাতে কী কী পদক্ষেপ করা হবে তা নিয়ে শনিবারই বৈঠকে বসে কোভিড-এর জন্য গঠিত ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স।
এই নতুন প্রজাতিকে চিহ্নিত করতে ‘জিনোমিক সার্ভেইল্যান্স’ এর উপর জোর দিচ্ছে টাস্ক ফোর্স। ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল (এনসিডিসি)-এর তত্ত্বাবধানে একটি দল গঠন করা হয়েছে। এক বিবৃতিতে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, অন্যান্য আরএনএ ভাইরাসের মতোই সার্স কোভ-২ এর অনবরত মিউটেশন হচ্ছে। এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক পরা, হাত ধোয়ার মতো কোভিড বিধিগুলোকে যথাযথ ভাবে মেনে চলতেই হবে।
ব্রিটেনে কোভিডের নতুন প্রজাতি ধরা পড়ার পর থেকে গোটা বিশ্বে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ইউরোপের বহু দেশ ব্রিটেনের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ভারতও। কিন্তু তার আগেই ব্রিটেন থেকে বহু যাত্রী এ দেশে ফিরেছেন। তাঁরা করোনার নতুন প্রজাতির বাহক কিনা তা খতিয়ে দেখার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে বলে সরকারি সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: সংশোধন নয়, ৩ কৃষি আইনের সম্পূর্ণ প্রত্যাহারই আলোচ্য, দাবি
গত সেপ্টেম্বরে পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডে করোনার নতুন এই প্রজাতি ধরা পড়ে। এই ভাইরাসের বহু বার মিউটেশনের ক্ষমতা রয়েছে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। তাঁদের আরও দাবি, আগের তুলনায় নতুন এই প্রজাতি ৭০ শতাংশ বেশি সংক্রামক।
নতুন এই প্রজাতি ব্রিটেন থেকে ধীরে ধীরে ইউরোপের অন্য দেশগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ছে। প্রথমে ইটালিতে ব্রিটেনফেরত এক ব্যক্তির দেহে এই ভাইরাস মেলে। স্পেন, সুইডেন, সুইৎজারল্যান্ড এবং ফ্রান্সেও নতুন এই প্রজাতি মিলেছে বলে খবর।