প্রতীকী চিত্র।
মঙ্গলযানের পর এবার ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র (ইসরো)-র নজরে সৌরজগতের আরেক গ্রহ শুক্র। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২৩ সালেই শুক্রে মহাকাশযান পাঠাবে ভারত। প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, শুক্রের কাছে পৌঁছে একটি নির্দিষ্ট কক্ষপথে এই গ্রহকে প্রদক্ষিণ করবে ভারতীয় মহাকাশযান। শুক্রগ্রহের সঙ্গে এই মহাকাশযানের ন্যূনতম দূরত্ব হবে ৫০০ কিলোমিটার, আর সর্বাধিক দূরত্ব হবে প্রায় ৬০০০০ কিলোমিটার।
আপাতত শুক্রে অভিযান নিয়ে জোর কদমে ময়দানে নেমে পড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। যদিও মহাকাশযানের ওজন কত হবে, তা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেননি ভারতীয় বিজ্ঞানীরা। তবে মোট ১০০ কেজি ওজনের যন্ত্রাংশ নিয়ে এই মহাকাশযান শুক্র অভিযান শুরু করবে, তা ঠিক করে ফেলেছেন ইসরোর মহাকাশ বিজ্ঞানীরা।
শুক্রের কাছে পৌঁছে কী ধরনের নতুন পরীক্ষা নিরীক্ষা চালানো যেতে পারে, তা নিয়ে সারা পৃথিবীর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, মহাকাশ গবেষণা সংস্থা এবং গবেষকদের কাছে প্রস্তাব পাঠানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে ইসরোর তরফে। ভারতের তরফে বেশ কয়েক ডজন পরীক্ষা নিরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরো। তার পাশাপাশি, বাইরের দেশের বিভিন্ন সংস্থাকেও গবেষণা চালানোর সুযোগ করে দিতে চায় ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। সেই কারণেই প্রস্তাব চাওয়া হচ্ছে ইসরোর তরফে।
আরও পড়ুন: ব্রিটিশ সেনাকে কচুকাটা করছিল জার্মান বাহিনী, তখনই রণাঙ্গনে এলেন মারুতি যাদব...
প্রাথমিক ভাবে ঠিক করা হয়েছিল মোট ১৭৫ কেজি ওজনের যন্ত্রাংশ পাঠাবে ভারত। যদিও পরে সেই ওজন কমিয়ে ১০০ কেজি করার জন্য বেশ কিছু পরীক্ষা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। সেই তালিকাও ভারতের তরফে চূড়ান্ত করে ফেলা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ইসরোর তরফে।
আরও পড়ুন: পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে ভিনগ্রহী মহাকাশযান?
যদিও শুক্রের কাছে পৌঁছনোর আগে এখনও বেশ কয়েকটি ধাপ পার হওয়া বাকি। এখনও মহাকাশ কমিশন এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সবুজ সঙ্কেত পেতে হবে ইসরোকে। তার পরেই নিশ্চিত ভাবে বলা যাবে শুক্রে পাড়ি দেবে ভারত।
যদিও ২০২৩ সালে শুক্রে মহাকাশযান পাঠানোর আগেই মহাকাশে পৌঁছবে ভারত। কারণ, ২০১৯ সালেই ফের চাঁদে মহাকাশযান পাঠাবে ভারত। চন্দ্রযান-২ নিয়েই এখন বেশি ব্যস্ত ইসরোর বিজ্ঞানীরা। তার পরই শুরু হবে শুক্রে যাওয়ার চূড়ান্ত প্রস্তুতি।
(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরা বাংলা খবর পেতে পড়ুন আমাদের দেশ বিভাগ।)