রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়। — ফাইল চিত্র।
রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের আচরণে ক্ষুব্ধ বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থাসূচক প্রস্তাব আনার তোড়জোড় শুরু হল। এই নিয়ে ছয় সদস্যের একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। কমিটি সমস্ত সংসদীয় আইন খতিয়ে দেখে এই প্রস্তাবের খসড়াটি তৈরি করবে।
পাশাপাশি রাজ্যসভার নেতা তথা বিজেপি-র মন্ত্রী পীযূষ গয়ালের বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস জমা দিল বিরোধী জোট ইন্ডিয়া। বিরোধীদের ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলেছিলেন গয়াল।
তবে, রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নোটিস দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে সতর্ক ভাবে পা ফেলতে চাইছে ইন্ডিয়া জোট। প্রস্তাবের খসড়া তৈরির জন্য যে কমিটি তৈরি হয়েছে, তাতে রয়েছেন, জয়রাম রমেশ, সুখেন্দুশেখর রায়, বন্দনা চহ্বান, রাম গোপাল যাদব, তিরুচি শিবা, করিম। এই অধিবেশনের শেষ দিনে প্রস্তাবটি আনা হবে কি না, তা নিয়ে ভাবনা চিন্তা চলছে। এমনও হতে পারে, শীতকালীন অধিবেশনে তা পেশ করা হল। কারণ, সংসদীয় আইন অনুযায়ী রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কোনও প্রস্তাব আনা হলে তা বলবৎ হতে ১৪ দিন সময় লাগে।
গত কয়েক দিন ধরেই ধনখড়ের সঙ্গে তিক্ততা বাড়ছে বিরোধী সাংসদদের। অনেকের অভিযোগ, তিনি একতরফা বক্তৃতা দিয়ে যাচ্ছেন, পক্ষপাত করছেন, ওয়েলে নামলেই বহিষ্কার করে দিচ্ছেন নির্বিচারে।
এর মধ্যেই পীযূষ গয়াল আজ বিরোধীদের সঙ্গে ‘নিউজক্লিক’ পোর্টালের সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। নিউইয়র্ক টাইমস-এর সাম্প্রতিক খবরকে হাতিয়ার করে গয়াল বলেন, ওই পোর্টাল চিনের সঙ্গে যুক্ত সংস্থা থেকে সাহায্য পাচ্ছিল। কংগ্রেস ও তার শরিকেরা চিনের মদতেপুষ্ট সংবাদমাধ্যম থেকে সমর্থন পাচ্ছিল। এ নিয়ে সংসদে আলোচনা হওয়া উচিত। ওরা দেশের বিরুদ্ধে প্রচারে সাহায্য করছে। রাহুল গান্ধীর সঙ্গে চিনের কমিউনিস্ট পার্টির কী সম্পর্ক? দেশের জানা উচিত। বিজেপি সাংসদ সুধাংশু ত্রিবেদীর অভিযোগ, ওই পোর্টালের দফতরে ইডি-র হানার সময় কংগ্রেস তার বিরোধিতা করেছিল।
কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ জয়রাম রমেশ টুইট করে বলেন, গয়ালকে এই মন্তব্যের জন্য অধিবেশনকক্ষে দাঁড়িয়ে ক্ষমা চাইতে হবে। তাঁর বক্তব্য, “রাজ্যসভায় ইন্ডিয়া জোটের দলীয় নেতারা দুপুর একটার সময় রাজ্যসভার নেতা পীযূষ গয়ালের বিরুদ্ধে অধিকারভঙ্গের নোটিস জমা দিয়েছেন। তিনি বিরোধীদের বিশ্বাসঘাতক বলেছেন।”