সম্প্রতি সুকনার ছাউনি থেকে যে কয়েক হাজার সেনা ডোকলামে পাঠানো হয়েছে। নাথাং-এর ফাইল চিত্র।
ডোকলামের পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ত্রিদেশীয় সীমান্ত লাগোয়া ভারতীয় গ্রামগুলিকে খালি করে দিতে বলল ভারতীয় সেনা। বাহিনীর সে পরামর্শ মেনে গ্রাম খালি করে দেওয়ার প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গেল ভারত-ভুটান-চিন সীমান্তবর্তী নাথাং এলাকায়। ঠিক কী কারণে গ্রাম খালি করতে বলল সেনাবাহিনী, তা এখনও স্পষ্ট নয়। দেশের সশস্ত্র বাহিনীর তরফে সরাসরি এ নিয়ে কোনও বিবৃতিও দেওয়া হয়নি।
আরও খবর
ডোকলাম আমাদেরই, চিনের দাবি নস্যাৎ করে বলল ভুটান
যে ডোকলামে ভারত এবং চিনের সেনাবাহিনী এখন মুখোমুখি অবস্থানে, সেখান থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে নাথাং। ছোট্ট ওই গ্রামে সব মিলিয়ে শ’খানেক মানুষের বাস। সেখানে নির্দেশ গিয়েছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গ্রাম খালি করে দিতে হবে। ইতিমধ্যেই গ্রাম খালি করার কাজ শুরু হয়েছে। সেখানকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সেনার নির্দেশ মেনেই নিরাপদ জায়গায় সরে যাচ্ছেন তাঁরা। গ্রামের মধ্যে দিয়ে সেনা কনভয়ের যাতায়াত হঠাৎ করে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে বলে তাঁদের দাবি। সম্প্রতি সুকনার ছাউনি থেকে যে কয়েক হাজার সেনা ডোকলামে পাঠানো হয়েছে, তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করতেই কি সীমান্তবর্তী গ্রাম খালি করে দেওয়া হচ্ছে? নাকি পরিস্থিতির অবনতি হলে সাধারণ নাগরিকদের যে ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে, সে কথা মাথায় রেখেই এই ব্যবস্থা? বিষয়টি এখনও পরিষ্কার নয়।
আরও খবর
জিতেও হেরে গেলেন অমিত
সেনাবাহিনীর তরফে অবশ্য সুকনা থেকে ডোকলামে সেনা পাঠানোর বিষয়ে অন্য ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। সেনার দাবি, এটা একটা রুটিন প্রক্রিয়া। প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাসেই এটা হয়ে থাকে। এ বার একটু আগেই সেই কাজ শুরু হয়েছে। এর মধ্যে অস্বাভাবিক কিছু নেই।
গত দু’মাস ধরেই ভারত-চিন-ভুটান সীমান্তের ডোকলামে উত্তেজনা তুঙ্গে। ভারত, চিন— দু’দেশের সেনাই একে অপরের মুখোমুখি অবস্থান করছে। কূটনৈতিক পথে রফাসূত্র না মিললে যুদ্ধের আশঙ্কাও রয়েছে।