প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
রাত পোহালেই বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন। তবে শুধু বাংলাদেশেই নয়, প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলিতে পর পর ভোট এ বছর। যার ফলাফলের দিকে উদ্বেগের সঙ্গে তাকিয়ে রয়েছে সাউথ ব্লক। কারণ কূটনৈতিক শিবিরের মতে, প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলিতে সরকার বদল হওয়া বা না হওয়ার উপরে সেই দেশের সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের যথেষ্ট সম্পর্ক রয়েছে।
মঙ্গলবার ভুটানে দ্বিতীয় দফার সংসদীয় নির্বাচন। ফেব্রুয়ারি মাসে পাকিস্তানে এবং এই বছরের দ্বিতীয়ার্ধে শ্রীলঙ্কায় ভোট হওয়ার কথা। ফেব্রুয়ারিতেই দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম দেশ এবং ভারতের সমুদ্রপথের অংশীদার ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট। সে দেশের নিয়ম অনুযায়ী, প্রথম দফায় যদি স্পষ্ট ফলাফল না আসে তবে দ্বিতীয় দফায় ভোট করানো হবে। এই বছরেই ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো-র মেয়াদ শেষ হচ্ছে। প্রতিবেশী বলয়ের বাইরে রাষ্ট্রপুঞ্জের স্থায়ী পাঁচ সদস্য বা পি-৫ গোষ্ঠীভুক্ত রাশিয়া এবং আমেরিকায় এই বছরেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। ভারতের অন্যতম বাণিজ্য অংশীদার মেক্সিকো এবং দক্ষিণ আফ্রিকাতেও ভোট ২০২৪- এই।
কূটনৈতিক শিবিরের মতে, ভারতের বাংলাদেশ এবং ভুটানের নির্বাচনের সঙ্গে বড় মাপের জাতীয় নিরাপত্তা এবং কৌশলগত স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে। ফলে সতর্ক নজর রাখা হচ্ছে ভোটের দিকে। সমীক্ষা অনুযায়ী, ভুটানে ভারতপন্থী প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগা দৌড়ে এগিয়ে। একই ভাবে বাংলাদেশে এগিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। এই দুই রাষ্ট্রেই প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে চিন। তাই হাসিনা বা তোবগা- র ফল কী হয় সে দিকে তাকিয়ে আছে। সাউথ ব্লক।
অন্য দিকে পাকিস্তানে নওয়াজ শরিফের ফেরার সম্ভাবনা তৈরি হলে ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বন্ধ দরজা ফের খুলতে পারে বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। যদিও সে দেশের শক্তিশালী সামরিক বাহিনী ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি ঘটাতে দেবে কি না তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।