কাশ্মীর নিয়ে ওআইসি-কে তোপ ভারতের।
ভারতের জম্মু-কাশ্মীর নীতির সমালোচনা করে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশন (ওআইসি)-এর নেওয়া প্রস্তাব ‘বাস্তবে ত্রুটিপূর্ণ এবং অযৌক্তিক’। পাল্টা তোপ দেগে জানিয়ে দিল নয়াদিল্লি। পাকিস্তানের নাম না করেই বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, ওআইসি-কে ভারত বিরোধিতার মঞ্চ হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
গত ২৭ এবং ২৮ নভেম্বর নাইজারের নিয়ামে-তে সদস্যদেশগুলির বিদেশমন্ত্রীদের নিয়ে ৪৭তম অধিবেশন বসেছিল ওআইসি-র। জম্মু-কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে গৃহীত হয় ওই মঞ্চের প্রস্তাবে। তার তীব্র নিন্দা করে পাল্টা বিবৃতি দিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। তাতে বলা হয়েছে, ওআইসি-র এই অভিযোগ সর্বৈব মিথ্যা। এ-ও বলা হয়েছে, ‘এটা খুবই দুঃখজনক যে, ওআইসি একটি নির্দিষ্ট দেশের দ্বারা নিজেকে ব্যবহৃত হতে দিচ্ছে যে দেশের ধর্মীয় সহনশীলতার রেকর্ড জঘন্য’। ওই মঞ্চকে ব্যবহার করে ভারত বিরোধিতা করা হচ্ছে বলেও দাবি নয়াদিল্লির। নাম না করলেও নয়াদিল্লির ইঙ্গিত ইসলামাবাদের দিকেই। ভবিষ্যতে এমন ভাবে যাতে কাশ্মীর প্রসঙ্গ টেনে আনা না হয়, তা নিয়ে ওআইসি-কে সতর্কও করে দিয়েছে ভারত।
নিয়ামে প্রস্তাবে এ-ও বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপুঞ্জের হস্তক্ষেপে জম্মু-কাশ্মীর সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানই তাদের মূল লক্ষ্য। তবে ভারত স্পষ্ট করে দিয়েছে, পাকিস্তান উপত্যকায় যে পরিস্থিতি তৈরি করেছে তাকে বাদ দিয়ে কাশ্মীর নিয়ে আলোচনা বাস্তবে সম্ভব নয়। ওআইসি-র মঞ্চে অবশ্য স্বস্তিতে নেই পাকিস্তান। ইসলামাবাদকে দেওয়া ঋণ ফেরত চাওয়ায় সৌদি আরবের সঙ্গে ইসলামাবাদের সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরশাহিও পাক নাগরিকদের ভিসা দিতে অস্বীকার করেছে। চাপে পড়ে মালয়েশিয়া এবং তুরস্ককে সঙ্গী করে ওআইসি-র মধ্যেই নতুন অক্ষ তৈরি করতে চাইছে পাকিস্তান।
আরও পড়ুন: ২৭০ র্যাঙ্ক করেও একটা ভুল ক্লিকে আইআইটি আসন হাতছাড়া পিতৃ-মাতৃহীন তরুণের
আরও পড়ুন: টানা বাড়ছে পেট্রল-ডিজেলের দাম, মোদী সরকারকে খোঁচা সীতারামের