পাকিস্তানের পরমাণু কর্মসূচির মোকাবিলা করতে হাইড্রোজেন বোমা বানানোর প্রস্তুতি নিয়েছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গাঁধী। ১৯৮৫ সালে এই সংক্রান্ত পরীক্ষাতেও এগিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ যে গোপন নথিগুলি প্রকাশ্যে এনেছে, তাতেই এই বিস্ফোরক তথ্য সামনে এসেছে।
সিআইএ-র মতে, রাজীব যে পরমাণু পরীক্ষার কথা ভেবেছিলেন, তা ১১ বছর আগের পোখরানের পরীক্ষার থেকেও অনেক শক্তিশালী। উপমহাদেশে অস্ত্র প্রতিযোগিতা নিয়ে পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠায় তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগন ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা কমাতে দূত পাঠাতে চেয়েছিলেন। তবে ইসলামাবাদ সেই প্রস্তাব মানতে রাজি হলেও নয়াদিল্লি ফিরিয়ে দেয়। নথিতে বলা হয়েছে, ইন্দিরা গাঁধী পোখরানে পরমাণু পরীক্ষা করিয়েছিলেন। কিন্তু রাজীব তাঁর প্রধানমন্ত্রিত্বের শুরুর দিকে পরমাণু বোমা বানানোর প্রশ্নে দ্বিধায় ছিলেন। তবে ১৯৮৫ সালে যখন তিনি জানতে পারেন পাকিস্তান পরমাণু বোমা বানানোর পথে এগোচ্ছে, তখন মত বদলান রাজীব।
সিআইএ-র দাবি, ভাবা পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রের ৩৬ জন বিজ্ঞানী হাইড্রোজেন বোমা বানিয়ে ছিলেন। মার্কিন গুপ্তচর সংস্থার নথিতে বলা হয়েছে, পরমাণু অস্ত্র তৈরি করার রসদও মজুত করেছিল ভারত। পাকিস্তান যে ভাবে পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে এগোচ্ছিল, তার প্রতিক্রিয়া দিল্লিতে দেখা যাচ্ছিল বলেই সিআইএ মতপ্রকাশ করেছে। তাদের মতে, আন্তর্জাতিক চাপের কথা ভেবেই পাকিস্তানকে আক্রমণ করেনি ভারত। আর ইসলামাবাদের থেকে বেজিংকেই ভারতের নিরাপত্তার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হয়েছিল। নথিতে সিআইএ-র কর্তারা বলছেন, নয়াদিল্লির পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে তথ্য পাচ্ছেন না তাঁরা। ভারতের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এতটাই আটোসাঁটো যে তাঁদের কাছে কোনও খবরই আসছে না। তবে এর মধ্যেই হাইড্রোজেন বোমার বিস্ফোরক তথ্য পাওয়ার দাবি করেছে মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা।