পরিবেশ বাঁচানোর শর্ত হিসেবেই পুরীর সব সরকারি ও আধা-সরকারি বা়ড়িতে অবিলম্বে ‘রেন ওয়াটার হার্ভেস্টিং’ বা বৃষ্টির জল সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে বলল জাতীয় পরিবেশ আদালত। বিচারপতি এস পি ওয়াংদি এবং বিশেষজ্ঞ-সদস্য পি সি মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জানিয়েছে, পুরীর বেসরকারি বহুতলেও এই ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করতে হবে।
পুরীর পরিবেশ রক্ষা নিয়ে কলকাতায় জাতীয় পরিবেশ আদালতের পূর্বাঞ্চলীয় বেঞ্চে মামলা করেছেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। সেই মামলাতেই জানা যায়, সমুদ্রতীরবর্তী পুরীর মাটির তলায় মিষ্টি জলের ভাঁড়ার রয়েছে। সুভাষবাবুর অভিযোগ, নির্বিচারে ভূগর্ভের জল তুলে ফেলায় সেই মিষ্টি জলের ভাঁড়ার দ্রুত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তার ভিত্তিতেই এ দিনের নির্দেশ। আদালত আরও জানিয়েছে, পুরীতে ‘ডিস্যালিনেশন প্ল্যান্ট’ বা নোনা জল পরিশোধন কেন্দ্র তৈরি করতে হবে এবং সেই পরিশোধিত পানীয় জল পাইপলাইন মারফত পৌঁছে দিতে হবে সব বাড়িতে। পুরীর কঠিন বর্জ্য থেকে দূষণ ঠেকানোর জন্য নির্দিষ্ট পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। ২১ ডিসেম্বর ওডিশার মুখ্যসচিবকে একটি রিপোর্ট দিতে বলেছে পরিবেশ আদালত।