এলএসি-তে ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনে অনুমোদন। —ফাইল চিত্র
প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল)-য় চিনের সঙ্গে সঙ্ঘাতের তীব্রতা এখন স্তিমিত। কিন্তু যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলায় ধাপে ধাপে প্রস্তুতি সেরে ফেলছে ভারত। এ বার বেজিংয়ের রক্তচাপ বাড়িয়ে এলএসি-র কাছে পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র ‘শৌর্য’ মোতায়েন করা হতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে।
চলতি মাসেই ওই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষায় সাফল্য মিলেছে। তবে শেষ পর্যন্ত কোথায় ‘শৌর্য’কে মোতায়েন করা হবে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ভারতীয় সেনা এবং জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ। এই খবর তুলে ধরেছে সর্বভারতীয় সংবাদপত্র ‘হিন্দুস্তান টাইমস’। ‘শৌর্য’ ভূমি থেকে ভূমিতে আঘাত হানতে সক্ষম। তার পাল্লা ৭০০ কিলোমিটার। ক্ষেপণাস্ত্রটি সুপারসনিক অর্থাৎ শব্দের চেয়েও দ্রুতগামী।
সংবাদপত্রটি জানাচ্ছে, ইতিমধ্যেই এলএসি বরাবর সীমিত সংখ্যক ‘নির্ভয়’ ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা হয়েছে। যার পাল্লা ৮০০ কিলোমিটার পর্যন্ত। তবে ওই ক্ষেপণাস্ত্রটি শব্দের চেয়ে কম গতিতে ছোটে, অর্থাৎ সাবসনিক। তাই এ বার সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনেও অনুমোদন দেওয়া হল। বিশেষজ্ঞদের মতে, নয়াদিল্লির এই পদক্ষেপের জেরে নিঃসন্দেহে বেজিংয়ের উপর চাপ কিছুটা বেড়ে গেল। সেই সঙ্গে ভারত যে পিছ পা হতে রাজি নয় সেই বার্তাও দেওয়া হল।
সীমান্ত নিয়ে বেজিংয়ের সঙ্গে টানাপড়েন চলাকালীন গত সেপ্টেম্বর থেকে চলতি মাসের মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে চারটি পরীক্ষা চালিয়েছে নয়াদিল্লি। এর প্রতিটিতেই সাফল্য মিলেছে।
• গত ৭ সেপ্টেম্বর হাইপারসনিক টেকনলজি ডেমনস্ট্রেটর ভেহিকলের পরীক্ষা করা হয়। মানববিহীন ওই যান দূরপাল্লার এবং শব্দের চেয়েও দ্রুতগামী ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম।
• শব্দের চেয়েও দ্রুতগামী ‘ব্রাহমস’ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা হয় গত ৩০ সেপ্টেম্বর।
আরও পড়ুন: হাথরসের পথে আটক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারা দিল পুলিশ
• ৩ অক্টোবর পরীক্ষা করা হয় ‘শৌর্য’ মিসাইলের।
• গত ৫ অক্টোবর ডুবোজাহাজ ধ্বংস করতে পারে ‘সুপারসনিক মিসাইল অ্যাসিস্টেড রিলিজ অফ টর্পেডো’ (স্মার্ট)-এর সফল পরীক্ষা করে ভারত।
আরও পড়ুন: মাদক কেনা মানেই চক্রের মাথা নয়, রিয়াকে জামিন দিয়ে জানাল বম্বে হাইকোর্ট
এর পাশাপাশি কে ৫ ক্ষেপণাস্ত্রের আধুনিকীকরণের কাজও দ্রুত গতিতে সেরে ফেলতে চায় ভারত। এই পর্বের লক্ষ্য কে ৫-এর পাল্লা ৫ হাজার কিলোমিটারে নিয়ে যাওয়া। ওই ক্ষেপণাস্ত্রটি ডুবোজাহাজ থেকে ছোড়া যাবে। মনে করা হচ্ছে, আগামী ১৫ মাসের মধ্যেই কে৫-এর পরীক্ষা সফল হবে। অরিহন্ত গোত্রের ডুবোজাহাজে মোতায়েন করা হবে ওই ক্ষেপণাস্ত্র।