ফাইল চিত্র।
গালওয়ান উপত্যকায় যা ঘটেছে তা নিয়ে কড়া বার্তা দিল ভারত। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক বিবৃতি জারি করে বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় শান্তি ফেরানোর জন্য সেনা এবং কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা চালাচ্ছে ভারত-চিন। এর আগেও ৬ জুন দু’দেশের মধ্যে কম্যান্ডার পর্যায়ে বৈঠেক হয়। দু’দেশের পক্ষ থেকেই শান্তি বজায় রাখার আশ্বাস দেওয়া হয়।
প্রকৃত নিয়ন্ত্ররেখায় উত্তেজনা কমানোর জন্য এর পরেও বেশ কয়েক দফায় বৈঠক হয়েছে। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দু’দেশের মধ্যে উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকে যে সমঝোতা হয়েছে তা যদি চিন মেনে চলত তা হলে ১৫ জুন রাতে গালওয়ান উপত্যকায় যে রক্তক্ষয়ী ঘটনা ঘটেছে তা এড়ানো সম্ভব হত। ভারত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার মধ্যেই তাদের যাবতীয় কর্মকাণ্ড সীমাবদ্ধ রেখেছে। আশা করছি চিনও তাদের দিক থেকে এই নিয়ম মেনে চলবে। এর পরই বেজিংকে হুঁশিয়ারি দিয়ে নয়াদিল্লি জানিয়েছে, সীমান্তে শান্তি বজায় রাখার জন্য তারা যথাসাধ্য চেষ্টা করবে। মতবিরোধ দূর করার জন্য আলোচনাও চালিয়ে যাবে। তবে সার্বভৌমত্ব রক্ষার ক্ষেত্রে কোনও রকম আপসের পথে হাঁটবে না ভারত।
সোমবার রাতে গালওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় সেনার উপর হামলা চালায় চিন সেনা। ভারতীয় বাহিনীর প্রত্যাঘাতে পাঁচ চিন সেনা নিহত হন। অন্য দিকে, ওই সংঘর্ষে ভারতীয় বাহিনীর এক কর্নেল ও দুই জওয়ানেরও মৃত্যু হয়। সেনা সূত্রে খবর, পাথর, রড নিয়ে মারামারিতেই প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: ৪৫ বছর আগে শেষ বার গুলি চলেছিল ভারত-চিনের মধ্যে
ঘটনার পরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করা হয়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) জেনারেল বিপিন রাওয়ত দুপুরে স্থল, নৌ ও বায়ুসেনার প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন। এর পরই এ দিন সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে এ প্রসঙ্গে এক বিবৃতি জারি করা হয়।