ছবি: পিটিআই।
পূর্ব লাদাখে স্থিতাবস্থা ফেরাতে গেলে চিন ও ভারত, দু’দেশের সেনাকেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার দু’দিকে আগের অবস্থানে ফিরতে হবে বলে জানাল ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক। আজ বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব জানান, দু’পক্ষ সমঝোতার ভিত্তিতে একইসঙ্গে পদক্ষেপ না করলে এ কাজ করা সম্ভব নয়।
সম্প্রতি ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়ত জানান, আলোচনা ব্যর্থ হলে লাদাখে বাহিনী সামরিক পদক্ষেপ করতে সব সময়েই তৈরি। চিনের মতোই লাদাখে বিপুল সেনা সমাবেশ ঘটিয়েছে ভারত। কাশ্মীর থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে প্যারা কমান্ডো বাহিনীর দুটি ইউনিটকে। বাণিজ্যিক দিকেও চিন-বিরোধী পদক্ষেপ করা হয়েছে। গত কাল বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, ‘‘১৯৬২ সালের লড়াইয়ের পরে সবচেয়ে বড় সঙ্কট দেখা দিয়েছে লাদাখে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার দু’পারেই মোতায়েন সেনার সংখ্যাও নজিরবিহীন। আমরা চিনের সঙ্গে একইসঙ্গে কূটনৈতিক ও সামরিক স্তরে কথা বলছি।’’ সমস্যা মেটাতে কূটনীতির উপরেই জোর দেন তিনি।
জয়শঙ্করের বক্তব্য, ‘‘পূর্ব নির্ধারিত সমঝোতা মেনেই সমস্যা মেটাতে হবে। কেউ একতরফা ভাবে সীমান্তের পরিস্থিতি পাল্টাতে পারে না।’’ আজ প্রায় একই সুরে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, ‘‘সীমান্ত সংক্রান্ত মেকানিজমের সাম্প্রতিক বৈঠকে দ্রুত সমস্যা মেটাতে রাজি হয়েছে দু’পক্ষই। সীমান্তে শান্তি না থাকলে যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কেরও উন্নতি হওয়া সম্ভব নয় তাও দু’পক্ষই মেনে নিয়েছে। সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা চলবে। বিদেশমন্ত্রীই জানিয়েছেন চিনের সঙ্গে সব সীমান্ত সমস্যা কূটনৈতিক পথেই মেটানো হয়েছে।’’
আরও পড়ুন: মধ্যবিত্তের সুরাহা নেই কেন, ফের সরব রাহুল