লাদাখের পথে ভারতীয় সেনার ট্রাক। শনিবার লাহুলে। ছবি: পিটিআই
নিয়ন্ত্রণরেখায় চিনের সঙ্গে সীমান্তে দু’তরফের সেনা সরানোর প্রক্রিয়া সবে শুরু হয়েছে বলে জানালেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। আজ তিন দিন ব্যাপী ইন্ডিয়ান গ্লোবাল উইক-এর শেষ দিনে তাঁর বক্তৃতার পরে এই সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে বিদেশমন্ত্রী জানান, পশ্চাদপসরণ প্রক্রিয়া সবে শুরু হয়েছে এবং এ ব্যাপারে আরও অনেকটা পথ যেতে হবে।
এ দিন সম্মেলনে বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্যের পরে সাম্প্রতিক চিন পরিস্থিতি নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করেন অনুষ্ঠানের সঞ্চালক। জবাবে বিদেশমন্ত্রী বলেন, ‘‘সম্প্রতি যা ঘটেছে, তা হল, দু’দেশই দু’তরফের সেনার পিছিয়ে যাওয়া নিয়ে ঐকমত্য হয়েছে কারণ উভয়েই পরস্পরের খুব কাছে চলে এসেছিল। তাই পশ্চাদপসরণ ও সেনা কমানো-এই দু’ব্যাপারেই আমরা একমত হয়েছি। এই প্রক্রিয়া সবে শুরু হয়েছে। কাজ খুব ভাল এগোচ্ছে। এই মুহূর্তে আমি এর বেশি কিছু বলব না।’’
শুধু চিনের সঙ্গে সীমান্ত সঙ্কট নয়, আজ সার্বিক ভাবে অতিমারি পরবর্তী বিশ্ব পরিস্থিতি নিয়েও মুখ খোলেন জয়শঙ্কর। সম্মেলনের প্রথম দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখে শোনা গিয়েছিল আত্মনির্ভরতার সঙ্গে বসুধৈব কুটুম্বকম নীতির মিশ্রণের কথা। আজ তাঁর বিদেশমন্ত্রী বললেন, “আমার ধারণা বিশ্বে মতান্তর আরও ধারালো হবে। পাশাপাশি অবিশ্বাসের পরিসরও তৈরি হবে। এই দুনিয়াটা আরও কঠিন হয়ে যাবে।’’ তাঁর মতে, বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রে জাতীয়তাবাদের উত্থান ঘটছিলই। করোনাভাইরাস এসে তাকে ত্বরান্বিত করল। বিদেশমন্ত্রীর কথায়, “করোনাভাইরাস আসার আগে আমরা এমন অনেক প্রবণতা দেখতে পাচ্ছিলাম, যা এখন ক্রমশ বাড়ছে। গত ছ’মাসেই দেখা যাচ্ছে, বহু দেশ আরও বেশি করে জাতীয়তাবাদী অবস্থান নিচ্ছে।’’ কূটনৈতিক সূত্রের বক্তব্য, যে পরিপ্রেক্ষিতে বিদেশমন্ত্রী কথাগুলি বলছেন, তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বাণিজ্যক্ষেত্রে সংরক্ষণবাদ বাড়িয়ে চলেছে আমেরিকা। ভিসা নিয়েও কড়াকড়ি বাড়িয়ে দিয়েছে তারা। পাশাপাশি চিনের সঙ্গে সীমান্তে চলছে সংঘাত। মনে করা হচ্ছে, নাম না করে বিদেশমন্ত্রী এই সঙ্কটগুলিরই উল্লেখ করেছেন।
আরও পড়ুন: ‘ওকে মেরে বেশ করেছে’, ফুঁসছেন বাবা