ছবি: পিটিআই।
লাদাখ থেকে চিন প্রায় ১০ হাজার সেনাকে সরিয়েছে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর।
সূত্রের দাবি, নভেম্বর মাসে লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে ১৫০ কিলোমিটার বা তার বেশি দূরত্বে মোতায়েন ১০ হাজার সেনাকে সরিয়েছে বেজিং। কিন্তু প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় মোতায়েন বাহিনীকে সরানো হয়নি। সেখানে এখনও দু’দেশের সেনা মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছে। সূত্রের দাবি, ভারতও লাদাখে মোতায়েন সেনার একাংশকে সরিয়েছে। তবে পরবর্তী পর্যায়ের সামরিক আলোচনার আগে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় অচলাবস্থা কাটার কোনও ইঙ্গিত এখনও নেই।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের মতে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে ওই এলাকায় প্রচন্ড শীতে বিপুল সংখ্যক সেনা মোতায়েন রাখা হয়তো চিনাদের পক্ষে কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। পরে ওই সেনাদের ফেরানো হবে কি না তা বলা এখনই সম্ভব নয়। সূত্রের খবর, সেপ্টেম্বরে সপ্তম দফার সামরিক আলোচনায় দু’দেশের তরফেই কিছু সংখ্যক সেনা সরানোর কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু আসন্ন শীতের কথা মাথায় রেখে শেষ পর্যন্ত সেনা সরায়নি ভারত। ভারতীয় সেনা সূত্রের মতে, শীতে চিন ফের কোনও পদক্ষেপ করলে ভারতের পক্ষে আগের মতো সেনা সমাবেশ করা কঠিন। কারণ, ভারতের দিকে পরিকাঠামো চিনের মতো উন্নত নয়।
এ দিন লাদাখ সফরে গিয়েছেন চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়ত। সেনা জানিয়েছে, জেনারেল রাওয়তকে পূর্ব লাদাখের পরিস্থিতি বিশদে জানাবেন লে-তে মোতায়েন ‘ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি’ কোরের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল পি জি কে মেনন। পরে লাদাখ থেকে কাশ্মীরেও যাওয়ার কথা রাওয়তের।
অন্য দিকে লাদাখে সীমান্ত পেরিয়ে আটক চিনা সেনাকে ফেরত দিল ভারত। আজ সকালে চুশুল-মলডো সীমান্তে তাঁকে চিনা সেনার হাতে তুলে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে ভারতীয় সেনা। ৮ জানুয়ারি লাদাখে প্যাংগং হ্রদের দক্ষিণ তীরে ভারতীয় এলাকায় ওই চিনা সেনাকে আটক করে ভারতীয় বাহিনী। সেনা জানায়, তিনি কী ভাবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে এলেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরে চিনা সেনার ওয়েবসাইটে দাবি করা হয়, ওই সেনা নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন। পরে ভারতীয় সেনা জানায়, তিনি তাদের হেফাজতে রয়েছেন। তাঁকে দ্রুত ফেরানোর দাবি জানায় চিন।