পরমাণু সরবরাহকারী সংস্থায় (এনএসজি) ঢোকার ছাড়পত্র এখনও মেলেনি মূলত চিনের আপত্তিতে। কিন্তু প্রায় সমগুরুত্বের অন্য একটি অভিজাত পরমাণু ক্লাবে সম্প্রতি সদস্যপদ পেয়েছে নয়াদিল্লি। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ৪২টি দেশের এই ‘ওয়াসেনার অ্যারেঞ্জমেন্ট’ (ডবলিউ এ)-তে আমেরিকা, ব্রিটেন-সহ বিভিন্ন শক্তিশালী রাষ্ট্র থাকলেও চিন এখনও নেই। বিদেশ প্রতিমন্ত্রী ভি কে সিংহ গতকাল সংসদে একটি প্রশ্নের লিখিত জবাবে জানিয়েছেন, ‘‘ডব্লিউ এ এবং এনএসজি—এই দু’টিই অগ্রগণ্য পরমাণু রফতানি নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এই সংস্থায় যোগ দেওয়ার ফলে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও পরমাণু অস্ত্র সম্প্রসারণের বিরোধিতায় ভারত আরও বেশি যোগ দিতে পারবে।’’
বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে জানানো হচ্ছে, এই শক্তিশালী মঞ্চটিতে যোগদানের ফলে ভারতের লাভ একাধিক। প্রথমত, এনএসজি-তে যোগদানের জন্য এটি একটি অন্যতম ধাপ। পরমাণু সম্প্রসারণ বিরোধিতায় ভারত তার ভূমিকাকে এই মঞ্চের অন্য দেশগুলির কাছে আরও বেশি করে তুলে ধরতে পারবে। দ্বিতীয়ত, এই মঞ্চের সদস্য দেশগুলির কাছে ভারতে তৈরি পরমাণু চুল্লি বিক্রি করা যাবে কোনও বিরূপ আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ছাড়াই। তৃতীয়ত, আন্তর্জাতিক পরমাণু প্রযুক্তির নাগাল পাওয়া সহজ হবে।
চিন অবশ্য স্বাভাবিক ভাবেই ভারতের এই অন্তর্ভুক্তিকে ছোট করে দেখতে চাইছে। বেজিং জানাচ্ছে, ডবলিউ এ–তে যোগদান এনএসজি-তে যাবার ছাড়পত্র নয়। চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র লু কাং সম্প্রতি বলেছেন, ‘‘আমরা ডবলিউ এ-তে ভারতের যোগদান সংক্রান্ত খবরটি দেখেছি। তবে প্রত্যেকটি সংস্থার যোগদানের প্রক্রিয়া এবং যোগ্যতা পৃথক। ডবলিউ এ-তে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে এনএসজি-তে যোগদানের অধিকার জন্মায় না।’’