সংসদ ভবন। —ফাইল চিত্র।
সংসদের বিশেষ অধিবেশনের শুরুতেই দেশের ৭৫ বছরের সংসদীয় ঐতিহ্য নিয়ে আলোচনা হবে। ৭৫ বছর আগে সংবিধান সভা থেকে সংসদীয় গণতন্ত্রের পথে যে যাত্রা শুরু করেছিল ভারত, তার উত্থান-পতন, প্রাপ্তি, অভিজ্ঞতা, স্মৃতি— সব কিছু নিয়েই আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে।
একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সোমবার সকাল ১১টার সময় লোকসভায় এই সংক্রান্ত আলোচনার আনুষ্ঠানিক সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাজ্যসভায় এই দায়িত্ব পালন করবেন পীযূষ গয়াল। মঙ্গলবার বিশেষ অধিবেশনে উপস্থিত সব সাংসদকে নিয়ে ফোটো তোলার একটি পর্ব থাকবে। তার পর পুরনো সংসদ ভবনের সেন্ট্রাল হলে ‘ভারতীয় সংসদের উজ্জ্বল ঐতিহ্য এবং ভারতকে ২০৪৭ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হিসাবে গড়ে তোলা’ শীর্ষক একটি প্রস্তাব পেশ করা হবে। তা নিয়ে আলোচনায় অংশ নেবেন দুই কক্ষের সাংসদেরা। এই আলোচনার পরই বাকি অধিবেশন নতুন সংসদ ভবনে হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। গণেশ চতুর্থীর উপলক্ষে ওই দিন একটি ছোট পূজার্চনার আয়োজনও হতে পারে নতুন সংসদ ভবনে।
সোমবারের বিশেষ অধিবেশনের আগে রবিবার দিল্লিতে সর্বদল বৈঠকের ডাক দিয়েছিল মোদী সরকার। সেখানেই আসন্ন অধিবেশনে মহিলা সংরক্ষণ বিল পেশের দাবি ওঠে। এই বিলে প্রস্তাব দেওয়া হয়, লোকসভা এবং রাজ্য বিধানসভায় মোট আসনের এক-তৃতীয়াংশ মহিলাদের জন্য সংরক্ষণ করতে হবে। বৈঠক শেষে সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী বলেন, ‘‘সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’ তিনি এ-ও জানিয়েছেন, রবিবারের বৈঠকে কাশ্মীরে নিহত জওয়ানদের শ্রদ্ধার্ঘ্য জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, ১৩ সেপ্টেম্বর জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগে জঙ্গিদের হাতে নিহত হন কমান্ডিং অফিসার কর্নেল মনপ্রীত সিংহ, মেজর আশিস ধনচাক, জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের ডেপুটি সুপার হুমায়ুন ভট্ট এবং এক জওয়ান। তাঁদের শ্রদ্ধার্ঘ্য জানানো হয় সর্বদল বৈঠকে।
রবিবারের সর্বদল বৈঠকের পরেও একটি প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। কেন বিশেষ অধিবেশন ডাকল মোদী সরকার? এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস সাংসদ অধীর সন্দেহ প্রকাশ করে বলেন, ‘‘এক মাত্র সরকারই জানে, তাদের অভিপ্রায় কী। নতুন অ্যাজেন্ডা দিয়ে সকলকে চমকেও দিতে পারে সরকার।’’