সিনেমা হলে জাতীয় সঙ্গীত বাজানো আর আবশ্যক নয়। ছবি— সংগৃহীত।
সিনেমা শুরুর আগে হলে জাতীয় সঙ্গীত বাজানো বাধ্যতামূলক নয়। ২০১৬-র পুরনো রায় প্রত্যাহার করে মঙ্গলবার এমনটাই জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট।
সিনেমা হলে জাতীয় সঙ্গীত বাজানো নিয়ে সোমবার কেন্দ্রীয় সরকার নিজেদের অবস্থান বদল করে। শীর্ষ আদালতকে তারা ওই নির্দেশ প্রত্যাহারের আর্জিও জানায়। এর পরই হলে জাতীয় সঙ্গীত বাজানো অত্যাবশ্যক নয় বলে রায় সুপ্রিম কোর্টের।
মোদী সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, প্রেক্ষাগৃহে সিনেমা শুরুর আগে জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হবে। যে কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও জাতীয় সঙ্গীত আবশ্যক করার পক্ষে ছিল সরকার। এ নিয়ে প্রথম থেকেই দেশজুড়ে বিতর্ক শুরু হয়।
২০১৬-র নভেম্বরে বিচারপতি দীপক মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, যতক্ষণ না প্রেক্ষাগৃহে জাতীয় সঙ্গীত শেষ হচ্ছে ততক্ষণ উপস্থিত দর্শকদের দাঁড়িয়ে থাকতে হবে। এর ফলে মানুষের মধ্যে দেশভক্তির ভাব জাগ্রত হবে।
আরও পড়ুন, সমকাম নিয়ে রায় খতিয়ে দেখবে সুপ্রিম কোর্ট
আরও পড়ুন, সমকামিতা অপরাধ! নিজের রায় ফের ভেবে দেখবে সুপ্রিম কোর্ট
গত বছরের অক্টোবরে সুপ্রিম কোর্টের অন্য একটি বেঞ্চ ওই নির্দেশে পরিবর্তন আনে।তখন বলা হয়, দর্শকদের উঠে দাঁড়ানোর প্রয়োজনীয়তা নেই। কারণ আদালত মনে করে, যিনি দাঁড়ালেন না তিনি যে কম দেশভক্ত, তার কোনও যুক্তি নেই।
সেই সময় কেন্দ্রীয় সরকারকে ফের এই সিদ্ধান্ত বিবেচনার নির্দেশও দেয় শীর্ষ আদালত। সরকারের নিষ্ক্রিয় ভূমিকার সমালোচনা করে বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় প্রশ্ন করেছিলেন, জাতীয় পতাকা বিধি সংশোধনের ক্ষেত্রে অসুবিধে কোথায়? তিনি বলেছিলেন, ‘‘ইদানীং বিভিন্ন ম্যাচ, টুর্নামেন্ট, এমনকী, অলিম্পিকেও জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়। যেখানে অর্ধেক মানুষ বুঝতেই পারেন না এর অর্থ কী। আপনাদের বিবেচনা করে বলা উচিত, কোথায় জাতীয় সঙ্গীত বাজানো যায়, আর কোথায় নয়।’’