মলদ্বীপের নতুন প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জু। ছবি: রয়টার্স।
শুক্রবারই শপথ নিয়েছেন মলদ্বীপের নতুন প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জু। বরাবরই চিনপন্থী হিসাবে পরিচিত মুইজ্জু ভোটে জেতার পরেই জানিয়েছিলেন, সে দেশ থেকে ভারতীয় সেনাদের সরিয়ে দেওয়া হবে। শপথের পরেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজুর সঙ্গে বৈঠকেও ফের সে কথা মনে করিয়েছেন তিনি। তবে কিছুটা হলেও আশার আলো দেখা গেল। ভারতীয় সেনাদের সে দেশে রাখার বিষয়ে ‘গ্রহণযোগ্য সমাধানে’র পথে হাঁটার লক্ষ্যে আলোচনায় সম্মত হয়েছে দুই দেশই।
চিনপন্থী মুইজ্জু প্রচারেও তাঁর চড়া ভারত বিরোধিতার সুর বজায় রেখেই ভোটে জিতেছেন। ক্ষমতায় আসার পরেই তিনি বুঝিয়ে দেন, মলদ্বীপে তাঁর নেতৃত্বে নতুন সরকার আর আগের মতো ‘ভারতই প্রথম’ নীতি নিয়ে চলবে না। তার পরেই সে দেশে ভারতীয় সেনার ঘাঁটি সরানোর নির্দেশ দেন তিনি। এতে চাপ বাড়ে নয়াদিল্লির। মলদ্বীপের সেনাঘাঁটি সরাতে হলে সেখানে চিন সুবিধা পাবে এবং তাতে ভারতের সমস্যা হবে বলেই বিদেশ ও প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মত।
মুইজ্জুর শপথে উপস্থিত ছিলেন রিজিজু। কাল তাঁর সঙ্গে মুইজ্জুর বৈঠকে মলদ্বীপে ভারতীয় সেনা রেখে দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। দু’পক্ষই সম্মত হয়েছে সমাধান খুঁজতে বৈঠকে বসা হবে। রিজিজুর সঙ্গে বৈঠকে মুইজ্জু বিপর্যয়ের সময়ে ভারতীয় সেনার সহযোগিতা ও ভারতীয় কপ্টার-বিমান ব্যবহার করতে দেওয়ার অবদানের জন্য ধন্যবাদ জানান। কিন্তু একই সঙ্গে অবিলম্বে সেনা প্রত্যাহারের কথাও বলেন। তার পরেই দুই নেতার মধ্যে আলোচনায় সমাধানসূত্রের বিষয়টি উঠে আসে।