ফের ভারত-চিন যৌথ সেনা মহড়া

ডোকলাম কাণ্ডের ফলে এতটাই দীর্ঘমেয়াদি দ্বিপাক্ষিক তিক্ততা তৈরি হয় যে মহড়ার প্রশ্নই ওঠেনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০১৮ ০২:৪৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

ডোকলাম সংঘাতের পর এই প্রথম ভারত এবং চিনের সেনা যৌথ মহড়া শুরু করতে চলেছে আগামী মঙ্গলবার। চিনের চেংডু শহরে বারো দিন ধরে মহড়া চলবে বলে খবর। আড়াই বছর আগে দু’দেশের মধ্যে এই যৌথ মহড়া হয়েছিল। ডোকলাম কাণ্ডের ফলে এতটাই দীর্ঘমেয়াদি দ্বিপাক্ষিক তিক্ততা তৈরি হয় যে মহড়ার প্রশ্নই ওঠেনি।

Advertisement

প্রতিরক্ষা মন্ত্রক থেকে বলা হয়েছে, ‘‘দু’দেশের সেনার মধ্যে সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা তৈরি ও প্রয়োজনে যৌথ অভিযানের দক্ষতা বাড়ানোটাই এ ক্ষেত্রে মূল উদ্দেশ্য। সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াই এই অভিযানের কেন্দ্রে থাকবে।’’ নিজের দেশে ইসলামিক সন্ত্রাসবাদ মাথাচাড়া দেওয়াও যথেষ্ট উদ্বিগ্ন বেজিং। এ ব্যাপারে ভারতকে যে তারা পাশে চায়, সে কথা বিভিন্ন শীর্ষ মঞ্চে বারবার জানানো হয়েছে নয়াদিল্লিকে। ভারতও এই মুহূর্তে চিনকে যতটা সম্ভব নিজের অনুকূলে রেখেই চলেছে। ডোকলামে যে রাশ হাতের বাইরে চলে যাচ্ছিল, তা বোঝার পরই চিন নীতিতে এই একশো আশি ডিগ্রি পরিবর্তন করা হয়েছিল।

তবে সম্প্রতি আমেরিকা এবং জাপানের সঙ্গে সমান্তরাল ভাবে অক্ষ তৈরি করে বেজিংকে বার্তা দেওয়ার কাজটিও চালিয়ে গিয়েছে সাউথ ব্লক। গত সপ্তাহেই জি-২০ গোষ্ঠীভুক্ত রাষ্ট্রগুলির সম্মেলন মঞ্চের ফাঁকে বৈঠক করেছেন ভারত, জাপান ও আমেরিকার শীর্ষ নেতারা। এতে কিছুটা হলেও নড়ে বসেছে বেজিং। বাণিজ্য যুদ্ধ থেকে দক্ষিণ চিনা সাগর বা ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে একাধিপত্য, বেজিংকে অস্বস্তিতে রেখেছে এই অক্ষ।

Advertisement

সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে ভারতের সঙ্গে বিভিন্ন আস্থাবর্ধক পদক্ষেপ করাটা চিনের কূটনৈতিক দায়ের মধ্যেও পড়ছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement