Social Media

সমাজমাধ্যমেও হানা দিতে পারে আয়কর দফতর, উঠছে প্রশ্ন

মোদী সরকার ১৯৬১ সালের আয়কর আইন ঢেলে সাজাতে সংসদে নতুন আয়কর বিল পেশ করেছিল। সেই বিল এখন লোকসভার সিলেক্ট কমিটিতে আলোচনার জন্য পাঠানো হয়েছে। বিরোধী শিবিরের সাংসদরা সিলেক্ট কমিটিতে এই নিয়ে প্রশ্ন তুলতে চাইছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০২৫ ০৭:৪৬
Share:

— প্রতীকী চিত্র।

আয়কর দফতরের অফিসাররা চাইলে ই-মেল আইডি, শেয়ার বাজারে লেনদেনের ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট বা ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামের মতো সমাজমাধ্যমের অ্যাকাউন্টে হানা দিতে পারেন। নতুন আয়কর আইনে আয়কর দফতরের অফিসারদের এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

মোদী সরকার ১৯৬১ সালের আয়কর আইন ঢেলে সাজাতে সংসদে নতুন আয়কর বিল পেশ করেছিল। সেই বিল এখন লোকসভার সিলেক্ট কমিটিতে আলোচনার জন্য পাঠানো হয়েছে। বিরোধী শিবিরের সাংসদরা সিলেক্ট কমিটিতে এই নিয়ে প্রশ্ন তুলতে চাইছেন। তাঁদের অভিযোগ, আয়কর আইনে এই ক্ষমতা দেওয়া হলে তা ব্যক্তি পরিসরের অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হবে। অথচ সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ব্যক্তি পরিসরের অধিকারকে সংবিধানের মৌলিক অধিকারের সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

আয়কর দফতর এখন আয়কর ফাঁকির তদন্তে সন্দেহের ভিত্তিতে কারও বাড়ির দরজার তালা ভেঙে হানা দিতে পারেন, কোনও বাক্স বা সিন্দুকের তালা ভাঙতে পারেন। যদি আয়কর অফিসারদের সন্দেহ হয় যে সেখানে হিসেব বহির্ভূত অর্থ, টাকা, গয়না, সোনা বা অন্য কোনও দামি সম্পদ বা হিসেবের খাতা লুকোনো রয়েছে এবং যে হিসেব বহির্ভূত আয় বা সম্পদে আয়কর ফাঁকি দেওয়া হয়েছে। বর্তমান আইনে সেই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

নতুন আয়কর বিলের ২৪৭ ধারার খসড়ায় আয়কর দফতরকে এই একই ক্ষমতা কারও ই-মেল, সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাকাউন্ট, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, অনলাইনে লগ্নির অ্যাকাউন্ট, লেনদেনের অ্যাকাউন্ট এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে পাসওয়ার্ড ভেঙে ঢুকে পড়ার ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে। এই ধারায় বলা হয়েছে, কর ফাঁকির সন্দেহ হলে আয়কর অফিসাররা কারও ‘ভার্চুয়াল ডিজিটাল স্পেস’-এ ঢুকে পড়তে পারে। সিপিএম নেতৃত্বের অভিযোগ, এটা ব্যক্তি পরিসরের মৌলিক অধিকারের উপরে গুরুতর আঘাত। নজরদারি রাষ্ট্রের পথে স্পষ্ট পদক্ষেপ। এর বিরোধিতা করা হবে।

বিজেপি সাংসদ বৈজয়ন্ত পণ্ডার নেতৃত্বে লোকসভার সিলেক্ট কমিটি ইতিমধ্যেই আয়কর বিল নিয়ে একবার বৈঠক করেছে। সেখানে মূলত অর্থ মন্ত্রকের রাজস্ব দফতরের বক্তব্য শোনা হয়েছিল। চলতি সপ্তাহে বুধ ও বৃহস্পতিবার ফের সিলেক্ট কমিটির বৈঠক রয়েছে। সেখানে বণিকসভা সিআইআই ও ফিকি, ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, হিসেব নিরীক্ষণ সংস্থা আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়ং-এর বক্তব্য শোনা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন

এটি একটি প্রিমিয়াম খবর…

  • প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর

  • সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ

  • সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে

সাবস্ক্রাইব করুন