রাষ্ট্রপুঞ্জ নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা কম্বোজ। ছবি: পিটিআই।
চলতি ডিসেম্বর মাসে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করবে ভারত। বৃহস্পতিবার মাসের প্রথম দিনের নিয়ম মেনে আফ্রিকার দেশ ঘানার কাছ থেকে রাষ্ট্রপুঞ্জের সভাপতিত্বের দায়িত্ব এল ভারতের হাতে।
সভাপতিত্ব হস্তান্তরের ওই কর্মসূচিতে রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা কম্বোজ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং সন্ত্রাস দমনে ভারতের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘‘গণতন্ত্রে কী করতে হয়, তা ভারতকে বোঝানোর প্রয়োজন নেই।’’ ভারত বিশ্বের প্রাচীন এবং বৃহত্তম গণতন্ত্র বলে জানিয়ে রুচিকার মন্তব্য, ‘‘আমাদের গণতান্ত্রিক চেতনা আড়াই হাজার বছরের পুরনো।’’
১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদে ভারত স্থায়ী সদস্য না হলেও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসাবে উঠে এসেছে বারবার। আন্তর্জাতিক নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে বার বার নির্ণায়ক ভূমিকা নিয়েছে। চলতি বছরের রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে নয়াদিল্লির ‘ভারসাম্যের কূটনীতি’ আন্তর্জাতিক মঞ্চে আলোচনায় এসেছে। যুদ্ধ বন্ধের পক্ষে জোরালো সওয়াল করলেও মস্কোর বিরুদ্ধে আমেরিকা-সহ পশ্চিমি দেশগুলির আনা প্রস্তাবের সহযোগী হয়নি ভারত।
সেই কারণেই কূটনৈতিক মহলের একাংশে গুঞ্জন রয়েছে, ডিসেম্বরে নিরাপত্তা পরিষদের সভা পরিচালনার ভার নেওয়ার পরে রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রস্তাব আনার ক্ষেত্রে ভারত বাধা হতে পারে। সে কারণেই রুচিরা ‘গণতান্ত্রিক পদ্ধতি’ মেনে চলার কথা বলেছেন। পাশাপাশি, ওই বক্তৃতার মাধ্যমে রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের প্রথম মহিলা স্থায়ী প্রতিনিধি ‘প্রাচীন ও বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশের’ জন্য নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী আসনের দাবির পক্ষে যুক্তি দিয়েছেন বলেও মনে করা হচ্ছে।