Jammu and Kashmir

জঙ্গি হামলা বা বরফের চোরা ফাটল, পাক সীমান্তে জওয়ানদের ভরসা স্থানীয় চারপেয়েরাই

প্রশিক্ষিত জার্মান শেফার্ড বা বেলজিয়ান ম্যালিনয় নয়, এলওসির বিভিন্ন অংশে ক্রমশ ভারতীয় জওয়ানদের ভরসার কেন্দ্র হয়ে উঠছে স্থানীয় কিছু পথকুকুর।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শ্রীনগর শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০২৩ ০৯:২৯
Share:

ভারতীয় জওয়ানদের ভরসার কেন্দ্র হয়ে উঠছে স্থানীয় কিছু পথকুকুর। ফাইল চিত্র।

ধীরে ধীরে সতর্ক পায়ে পাহাড়ি পথ ধরে এগোচ্ছে ওরা। সতর্ক নজর নিয়ন্ত্রণরেখার (এলওসি) দিকে। পাক অধিকৃত কাশ্মীর লাগোয়া জঙ্গল ঘেরা এলাকায়। মাটি শুঁকে মাঝে মধ্যে আঁচ পেতে চাইছে আগাম বিপদের। ওরা সঙ্গে থাকায় অনেকটা নিশ্চিন্তে ভারতীয় সেনার টহলদার বাহিনীর জওয়ানেরাও।

Advertisement

প্রশিক্ষিত জার্মান শেফার্ড বা বেলজিয়ান ম্যালিনয় নয়, এলওসির বিভিন্ন অংশে ক্রমশ ভারতীয় জওয়ানদের ভরসার কেন্দ্র হয়ে উঠছে স্থানীয় কিছু পথকুকুর। শীতের গুলমার্গের হিমাঙ্কের ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস নীচের তাপমাত্রায়, তুষারে ঢাকা চড়াই পথেও জওয়ানদের সঙ্গী হচ্ছে তারা। সেনারাও সাগ্রহে তাদের ‘দলে’ নিচ্ছে ওই পাহাড়ি নেড়িদের। দিচ্ছে নিজেদের খাবারের ভাগ।

এলওসিতে মোতায়েন ১৯ নম্বর পদাতিক ডিভিশনের এক জওয়ান বলেন, ‘‘অনেক ক্ষেত্রেই এই পথকুকুরেরা বিপদ এড়াতে আগাম প্রাথমিক সতর্কতা হিসাবে কাজ করে। স্থানীয় পাহাড়ি কুকুর হওয়ায় আলাদা করে যত্ন নেওয়ার প্রয়োজন হয় না। আমাদের সঙ্গেই ভাগাভাগি করে সাধারণ খাবারও খেতে পারে এরা।’’ তিনি জানান, শুধু শত্রুর হামলা নয়, শীতকালে তুষারে ঢাকা দুর্গম পাহাড়ি পথে চোরা ফাটল থেকে সেনাদের সতর্ক করার কাজও করে এরা। ১৯ নম্বর পদাতিক ডিভিশনের কমান্ডার মেজর জেনারেল অজর চাঁদপুরিয়ার কথায়, ‘‘বলা হয় কুকুরই মানুষের সেরা বন্ধু। কথাটা যে কত বড় সত্যি, শীতের নিয়ন্ত্রণরেখায় তা বোঝা যায়।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement