নাথুরাম গডসের পুজো করে উদ্বোধন জ্ঞানশালার। ছবি: ভিডিয়ো গ্র্যাব।
দেশপ্রেমিক আখ্যা আগেই জুটে গিয়েছে। হয়ে গিয়েছে মূর্তি বসিয়ে মন্দিরের ভিত্তিস্থাপনও। এ বার মহাত্মা গাঁধীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসের স্মৃতিতে আস্ত একটা ‘জ্ঞানশালা’ করল হিন্দু মহাসভা। দেশভাগ, গডসের দেশভক্তি এবং তার আদর্শ সম্পর্কে সকলকে অবহিত করতেই এমন উদ্যোগ বলে জানিয়েছে তারা।
মধ্যপ্রদেশের গ্বালিয়রের দৌলতগঞ্জে ওই ‘জ্ঞানশালা’টি তৈরি করেছে হিন্দু মহাসভা। সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, গডসের মাহাত্ম্য নিয়ে নানা রচনা, তার বক্তৃতার অংশ, গাঁধী হত্যার পরিকল্পনা এবং দেশভাগ সংক্রান্ত লেখালেখি নিয়ে লাইব্রেরি গড়ে তোলা হয়েছে। দেশভাগ এবং বিস্মৃত স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নিয়ে নানা লেখালেখিও রয়েছে তাতে। অল্পবয়সি ছেলেমেয়েদের জন্য রয়েছে পঠন-পাঠনের ব্যবস্থাও। যাতে গডসের দেশভক্তি এবং আদর্শ বুঝে তার পথ অনুসরণ করতে পারেন সকলে।
একই সঙ্গে সেখানে ওয়ার্কশপও গড়ে তোলা হয়েছে একটি। সেখানে শুধু গডসেকে নিয়ে আলোচনাই হবে না, বরং তার পথ অনুসরণ করে যাতে এগিয়ে যাওয়া যায়, সেই পথ প্রশস্ত করা হবে। গডসে, বীর সাভরকর এবং রানি লক্ষ্মীবাঈয়ের ছবিতে পুজো দিয়ে রবিবার ওই ‘জ্ঞানশালা’র যাত্রা শুরু হয়। হিন্দু মহাসভার সর্বভারতীয় সহ সভাপতি জয়বীর ভরদ্বাজ বলেন, ‘‘অবিভক্ত ভারতের দাবিতে অনড় ছিলেন উনি। তার জন্য নিজের প্রাণও বিসর্জন দিয়েছেন। এই লাইব্রেরি থেকে যুবসমাজের মধ্যে সত্যিকারের জাতীয়তাবাদ জাগিয়ে তুলতে চাই আমরা, যার জন্য চিরকাল লড়ে গিয়েছেন গডসে।’’
আরও পড়ুন: আপাতত কৃষি আইন স্থগিত রাখতে কেন্দ্রকে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট
আরও পড়ুন: অস্বস্তি-গরমে কাবু শীত, কলকাতা ২০.৯ ডিগ্রি! কবে থেকে ফের কমবে তাপমাত্রা?
কংগ্রেসের জন্যই ১৯৪৭ সালে দেশভাগ হয়েছিল বলেও দাবি করেন জয়বীর। তাঁর অভিযোগ, জওহরলাল নেহরু এবং মহম্মদ আলি জিন্নার ক্ষমতা দখলের উচ্চাকাঙ্খার জন্যই দেশভাগ হয়েছিল। গ্বালিয়রে লাইব্রেরি তৈরি করার পিছনে তার যুক্তি, গাঁধীহত্যার জন্য এই গ্বালিয়র থেকেই পিস্তল কিনেছিল গডসে। তাই গ্বালিয়রের মাটিতেই তাকে শ্রদ্ধা জানানো হল।
এর আগে, নিজেদের গ্বালিয় অফিসে গডসের মূর্তি বসিয়ে একটি মন্দিরও স্থাপন করে হিন্দু মহাসভা। তা নিয়ে কংগ্রেস প্রতিবাদ শুরু করলে শেষমেশ তা সরিয়ে নেয় তারা।