রোহিঙ্গাদের তথ্য জানাতে রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিল কেন্দ্র

দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহের জন্য রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিল কেন্দ্র। আজ লোকসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ জানান, প্রতিটি রাজ্যে কত সংখ্যক রোহিঙ্গা আছেন, তা কেন্দ্রকে জানাতে বলা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০১৮ ০৩:২৩
Share:

দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহের জন্য রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিল কেন্দ্র। আজ লোকসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ জানান, প্রতিটি রাজ্যে কত সংখ্যক রোহিঙ্গা আছেন, তা কেন্দ্রকে জানাতে বলা হয়েছে। রাজ্যগুলি থেকে তথ্য আসার পরে বিদেশ মন্ত্রকের সাহায্যে অনুপ্রবেশকারীদের নিজেদের দেশে ফেরত পাঠানোর কাজ শুরু করবে কেন্দ্র। তত দিন রোহিঙ্গারা যাতে অন্যত্র ছড়িয়ে পড়তে না পারেন, সে জন্য তাঁদের গতিবিধির দিকে নজর রাখতে রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জোর দেওয়া হয়েছে বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহে।

Advertisement

কেন্দ্রের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ দেশে অবৈধ ভাবে ৪০ হাজার রোহিঙ্গা বসবাস করছেন। সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় রয়েছেন জম্মু-কাশ্মীরে। দ্বিতীয় স্থানে তেলঙ্গানা। জম্মুর বিজেপি সাংসদ যুগল কিশোর আজ অভিযোগ করেন, তাঁর রাজ্যে অন্তত ১৫-২০ হাজার রোহিঙ্গা অবৈধ ভাবে বাস করছেন। যাঁদের কেউ কেউ কাশ্মীরের সেনা ছাউনিতে হামলার সঙ্গেও জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত সন্দেহে সে রাজ্যে গ্রেফতার হয়েছেন একাধিক রোহিঙ্গা। দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে রোহিঙ্গাদের নিজেদের দেশে পাঠানোর দাবি তোলেন ওই সাংসদ। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজু আজ জানান, এ দেশে রোহিঙ্গাদের একাংশ নানা অপরাধমূলক কাজে যুক্ত। তাঁরা আধার, ভোটার কার্ড জোগাড় করেছেন বা করার চেষ্টা করছেন বলে জানতে পেরেছে কেন্দ্র। রিজিজুর কথায়, ‘‘ভারত রোহিঙ্গাদের শরণার্থী মর্যাদা দেয়নি।’’ কেন্দ্রের বক্তব্য, এ ভাবে নাগরিকত্ব জোগাড়ের চেষ্টা আইনত অপরাধ। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহও আজ বলেন, ‘‘রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশকারী, শরণার্থী নন। সুপ্রিম কোর্টে ওই অবস্থান জানিয়ে দিয়েছে সরকার।’’

গত কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশের কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবিরগুলিতে ‘ইনসানিয়ৎ’ নাম দিয়ে ত্রাণের কাজ চালাচ্ছে ভারত। সেই মানবতার সূত্র ধরে আজ তৃণমূল সাংসদ সুগত বসু জানতে চান, ‘‘রাষ্ট্রপুঞ্জের নীতি মেনে ভারত কি ওই শরণার্থীদের আশ্রয় দেবে?’’ জবাবে রিজিজু বলেন, ‘‘রাষ্ট্রপুঞ্জের শরণার্থী চুক্তিতে ভারত সই করেনি। তা সত্ত্বেও বহু দেশছাড়া মানুষ এ দেশে থাকেন। কিন্তু যে কেউ ভারতে এসে দেশের নাগরিকদের অধিকার ছিনিয়ে নিতে পারে না। সরকারে নীতি, আগে দেশের লোকের অধিকারকে সুরক্ষিত করা। তার পরে শরণার্থীদের।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement