ছবি: সংগৃহীত।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) এবং জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি)-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদের আঁচ পৌঁছেছে দেশের প্রথম সারির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতেও। সেখানে বিক্ষোভে শামিল হচ্ছেন পড়ুয়াদের একাংশ। এই পরিস্থিতিতে গত কাল আইআইটি-বম্বে কর্তৃপক্ষ একটি নির্দেশে বলেছেন, হস্টেলের বাসিন্দারা ‘দেশ-বিরোধী’ কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারবেন না। কোন কর্মসূচি ‘দেশ-বিরোধী’ হিসেবে গণ্য হবে, তা অবশ্য স্পষ্ট করেননি কর্তৃপক্ষ।
গত কাল হস্টেল পড়ুয়াদের জন্য একটি নির্দেশিকা জারি করেছেন আইআইটি-বম্বের ডিন অব স্টুডেন্ট। তা পড়ুয়াদের ই-মেল করা হয়েছে। ১৫ দফার ওই নির্দেশিকার ১০ নম্বরে বলা হয়েছে, ‘‘হস্টেলের পড়ুয়ারা যেন দেশ-বিরোধী, অসামাজিক এবং অবাঞ্ছিত কর্মকাণ্ডে যুক্ত না-হন।’’ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, সম্প্রতি সিএএ-র বিরুদ্ধে বিক্ষোভে শামিল হয়ে নজর কেড়েছিলেন আইআইটি, আইআইএমগুলির পড়ুয়ারা। জেএনইউয়ে হামলার প্রতিবাদে মুম্বইয়ের গেটওয়ে অব ইন্ডিয়ায় বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন আইআইটি বম্বের পড়ুয়ারা। ওই ই-মেলে আরও বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট হস্টেল কর্তৃপক্ষ বা ডিন অব স্টুডেন্টের অনুমতি ছাড়া পুস্তিকা, প্রচারপত্র বিলি করা যাবে না। সাঁটা যাবে না পোস্টারও। হস্টেলের শান্তি বিঘ্নিত হয় এমন কোনও গান, বক্তৃতা এবং নাটকের উপরেও বিধিনিষেধ জারি হয়েছে। হস্টেলে আবাসিকদের সব সময় পরিচয় পত্র সঙ্গে রাখতে বলেছেন কর্তৃপক্ষ। প্রয়োজনে যে কোনও সময়ে তা দেখাতে বাধ্য পড়ুয়ারা। রাত্রিবাস করবেন না এমন কেউই রাত ১০টার পরে হস্টেলে আবাসিক রুমে থাকতে পারবেন না। কোনও পড়ুয়ার কাছে তাঁর বাবা-মা, ভাইবোন থাকতে চাইলে হস্টেলে কর্তৃপক্ষের আগাম অনুমতি নিতে হবে। আইআইটি বম্বের মুখপাত্রের দাবি, ‘‘এটা কোনও আইন নয়, নিয়মবিধি মাত্র।’’ গত ডিসেম্বের একই ধরনের নির্দেশিকা বলবৎ হয়েছিল আইআইটি-কানপুরেও।
আরও পড়ুন: ‘সহমত নই’ বলেও ভাষণ পাঠ আরিফের