স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্মসচিব লব আগরওয়াল। ফাইল চিত্র।
গোটা দেশ আঠারো দিন ধরে লকডাউন। তা সত্ত্বেও শুধু গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে নোভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১০৩৫ জন। আর এই প্রথম বার, ওই চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই মারা গিয়েছেন ৪০ জন। সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৪২-এ। এই হিসেব দিয়েও স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দাবি, দেশের পরিস্থিতি মন্দের ভাল।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ওয়েবসাইট ধরে গত কাল মধ্যরাত থেকে আজ মধ্যরাতের পরিসংখ্যান হিসেব করলে অবশ্য এর সঙ্গে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা-বৃদ্ধির বিয়োগফল মিলবে না। সে ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, আজ বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করার সময়ে তখন থেকে ২৪ ঘণ্টা আগেকার হিসেব দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। আজ রাতে মন্ত্রকের ওয়েবসাইট বলছে, দেশে করোনা আক্রান্তের মোট সংখ্যা ৭৫২৯। সুস্থ হয়েছেন ৬৫২ জন। মন্ত্রকের দাবি, কোথাও লকডাউন না-হলে আজকের তারিখ পর্যন্ত দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হত প্রায় ২.০৮ লক্ষ। মন্ত্রকের করা এই সমীক্ষা অনুযায়ী, আক্রান্তের সংখ্যাটি ১৫ এপ্রিলে গিয়ে দাঁড়াত প্রায় ৮.২ লক্ষে।
লকডাউনের সাফল্যকে এমন একটি দিনে স্বাস্থ্য মন্ত্রক দেশবাসীর কাছে তুলে ধরল, যে দিন ভিডিয়ো কনফারেন্সে এই তালাবন্দি-দশার মেয়াদ আরও দু'সপ্তাহ বাড়ানো নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সহমত হলেন বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। প্রধানমন্ত্রী ২১ দিনের লকডাউনের ঘোষণার আগেই তা থেকে কোনও লাভ হবে কি না, সে বিষয়ে মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে একটি সমীক্ষা করেছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে ২.০৮ লক্ষ ও ৮.২ লক্ষের পরিসংখ্যান দিয়ে মন্ত্রকের যুগ্মসচিব লব আগরওয়াল আজ বলেন, "লকডাউন না-হলে এ দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪১ শতাংশ বেড়ে যেত। একই ভাবে সারা দেশে লকডাউন না-করে যদি শুধুমাত্র 'হটস্পট'-গুলিকেই গণ্ডিতে বেঁধে রাখা হত, তা হলেও আজকের তারিখ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা হত ৪৫,৩৭০। ১৫ এপ্রিলে যা বেড়ে হত ১.২ লক্ষ। সে ক্ষেত্রে রোগী বাড়ত ২৮.৯ শতাংশ।" পারস্পরিক দূরত্বের নীতিতে পরিস্থিতি অনেকাংশেই সামলানো গিয়েছে বলে দাবি মন্ত্রকের।
গোড়া থেকেই প্রতিটি রাজ্যে শুধু করোনা-রোগীদের জন্য হাসপাতাল নির্দিষ্ট করার কথা বলছিল কেন্দ্র। আজ স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, লাগাতার চেষ্টার ফলে এ পর্যন্ত প্রায় ৫৮৬ হাসপাতাল শুধু করোনা-রোগীদের জন্যই ব্যবহার হচ্ছে। এ ছাড়া নিভৃতবাসের এক লক্ষ শয্যা ও আইসিইউয়ের ১১,৫০০ শয্যা করোনা-রোগীদের জন্যই আলাদা করে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রসঙ্গ হটস্পট: কিছু জায়গায় বিশেষ যত্ন নেওয়া হচ্ছে, আর কিছু নয়, বললেন মমতা
আরও পড়ুন: ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন, তবে স্থানভেদে বদলাবে নিয়মকানুন
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)