প্রতীকী ছবি।
টাকা খরচ করে মেয়েকে লেখাপড়া না শিখিয়ে কি সেই টাকা পণের জন্য জমিয়ে রাখলে ভাল হত? মর্গের বাইরে দাঁড়িয়ে হাহাকার করে ওঠেন আইআইটি দিল্লির আত্মঘাতী ছাত্রী মঞ্জুলা দেভকের বাবা। মঙ্গলবার ক্যাম্পাসের ভিতরে নালন্দা অ্যাপার্টমেন্ট থেকে উদ্ধার হয় মঞ্জুলার ঝুলন্ত দেহ। পরিবারের অভিযোগ, স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির অত্যাচার সহ্য করতে না পেরেই আত্মহত্যা করেন মেধাবী ওই তরুণী।
ঠিকুজি মিলে যাওয়ায় ২০১৩ সালে তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী রাজেশ ভিরহার সঙ্গে তড়িঘড়ি মেয়ের বিয়ে দিয়ে দেন বাবা মনোজ কুমার দেভক। আগাগোড়া তুখোড় ছাত্রী মঞ্জুলা ইন্দৌরের একটি কলেজ থেকে বি টেক করেন। গোল্ড মেডেলও পান। এরপর দিল্লি আইআইটি থেকে এম টেক করে পিএইচডি করছিলেন তিনি। বিয়ের সময় লেখাপড়া নিয়ে কোনও আপত্তি তোলেনি রাজেশের পরিবার। কিন্তু দিন কয়েক পরেই শুরু হয় অশান্তি। লেখাপড়া ছেড়ে মঞ্জুলাকে ভোপালে চলে আসার জন্য চাপ দিতে থাকে তারা। বছর দুয়েক আগে রাজেশ চাকরি ছেড়ে ব্যবসা শুরু করার জন্য স্ত্রীর থেকে চাপ দিয়ে ২৫ লাখ টাকা আদায় করার চেষ্টা করেন। অশান্তি চরমে উঠলে গত বছরও অবসাদে হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছিলেন মঞ্জুলা। বাবা তাঁকে বিবাহ-বিচ্ছেদের পরামর্শ দেওয়া হলেও পরিবারের বদনামের ভয়ে তাতে রাজি ছিলেন না মঞ্জুলা।
সোমবার দুপুরে ক্যাম্পাসে শেষবার দেখা যায় মঞ্জুলাকে। ও দিনই সোশ্যাল মিডিয়ায় সবাইকে ব্লক করে দেন তিনি। নালন্দা অ্যাপার্টমেন্টের এক বাসিন্দা জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মঞ্জুলার ঘরের ভিতর থেকে আওয়াজ শুনে বেরিয়ে আসেন তিনি। ভাঙা জানলা দিয়ে তিনিই প্রথম মঞ্জুলাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত ঘোষণা করা হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।