অতিশী। ছবি: পিটিআই।
সব কিছু ঠিক থাকলে, আগামী শনিবার শপথ নিতে চলেছেন দিল্লির হবু মুখ্যমন্ত্রী অতিশী। আগামী ২৬-২৭ সেপ্টেম্বর বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করবেন তিনি। ৭০ আসনের দিল্লি বিধানসভায় ৬০টির বেশি আসন পেয়েছিল আম আদমি পার্টি। তাই সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে সমস্যা হওয়ার কথা নয় অতিশীর।
স্বচ্ছ রাজনীতির স্বপ্ন দেখানো আপ-কে দিল্লিতে ক্ষমতায় আনার পিছনে মধ্যবিত্ত সমাজের বড় ভূমিকা ছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল, উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া-সহ একাধিক মন্ত্রী দুর্নীতির অভিযোগে জেলে যাওয়ায় আপের সঙ্গে কেজরীর বিশ্বাসযোগ্যতা ও ভাবমূর্তি নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তাই মধ্যবিত্ত এবং উচ্চ মধ্যবিত্ত ভোট ফেরাতে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির, উচ্চশিক্ষিত অতিশীর উপরে ভরসা রাখতে চাইছে দল। পাশাপাশি, এক জন মহিলাকে মুখ্যমন্ত্রী করে দিল্লির মহিলাদের সমর্থন পেতে চায় তারা। সূত্রের মতে, বর্তমান মন্ত্রিসভার সদস্যরাই নতুন মন্ত্রিসভায় স্থান পাবেন। তবে দলের দুই বিধায়ককেও নতুন মন্ত্রিসভায় নেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে।
এ দিকে অতিশীর মুখ্যমন্ত্রী হওয়া সাময়িক বলে কটাক্ষ করেছেন কংগ্রেস নেতা সন্দীপ দীক্ষিত। তাঁর কথায়, ‘‘কেজরী বলেই দিয়েছেন, ভোটে জিতে এলে তিনি আবার মুখ্যমন্ত্রী হবেন। এই সময়ে তাঁর কুর্সি সুরক্ষিত রাখতে অতিশীকে বেছেছেন কেজরী। তা ছাড়া, জামিনের শর্তেই বলা রয়েছে, কেজরী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ফাইলে সই করতে বা নতুন সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না। ফলে নৈতিক কারণে ইস্তফা দেননি তিনি।’’
আপ নেতা সঞ্জয় সিংহ আজ বলেন, ‘‘আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর আবাস ছেড়ে দেবেন কেজরীওয়াল। তিনি জনগণের মধ্যেই থাকবেন, তবে কোথায় তা ঠিক হয়নি।’’ প্রশ্ন উঠেছে, কেজরীওয়ালের নিরাপত্তা নিয়েও। গতকাল নিজের নিরাপত্তাবাহিনী ছেড়ে দিতে চান কেজরীওয়াল। সঞ্জয়ের কথায়, ‘‘অতীতে কেজরীওয়ালের উপরে হামলা চালিয়েছে বিজেপি সমর্থকেরা। তবে তিনি তিহাড়ে কুখ্যাত অপরাধীদের সঙ্গে থেকেও ভগবানের আশীর্বাদে নিরাপদে বেরিয়ে এসেছেন। ভবিষ্যতেও ঈশ্বর রক্ষা করবেন।’’
এ দিকে, কেজরী ইস্তফা দেওয়ার পরে নয়াদিল্লি পুর নিগম পর্ষদে রদবদল করল কেন্দ্র। কেন্দ্র জানিয়েছে, কেজরীওয়াল এখন শুধুমাত্র বিধায়ক হিসেবে পর্ষদে থাকবেন। পর্ষদে মনোনীত হয়েছেন দিল্লি ক্যান্টনমেন্ট এলাকার বিধায়ক বীরেন্দ্র সিংহ কাদিয়ান। সদস্য করা হয়েছে নয়াদিল্লি কেন্দ্রের সাংসদ বাঁশুরি স্বরাজকেও। তবে চেয়ারম্যান পদটি এখনও ফাঁকা।