বেঙ্গালুরু মেট্রোপলিটন কর্পোরেশনের (বিএমটিসি) ম্যানেজিং ডিরেক্টর সি শিখার হাতে বাসের স্টিয়ারিং। ছবি টুইটার থেকে নেওয়া
সরকারি বাসের চালকের আসনে বসে আছেন খোদ আইএএস অফিসার। বেঙ্গালুরু মেট্রোপলিটন কর্পোরেশনের (বিএমটিসি) ম্যানেজিং ডিরেক্টর সি শিখার ভিডিয়োটি সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। মেয়েদের স্বনির্ভরতার পাঠ দেওয়ার এই উদ্যোগকে কুর্নিশ করছেন অনেকে। কেউ আবার টিপ্পনী কাটছেন, ‘‘আইএএস শিখার লাইসেন্স আছে আছে তো?’’
দিন কয়েক আগেই সামনে আসে এই আইএএস-এর ভিডিওটি। দেখা যায়, বেঙ্গালুরুর হসকতে একটি ভলভো প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বাসের স্টিয়ারিং-এর দখল নিয়েছেন শিখা। মহিলাদের আরও বেশি স্বনির্ভর হওয়ার বার্তা দিতে উদ্যোগী হন শিখা। শিখা চান, আরও বেশি মহিলা রাস্তায় সরকারি পরিবহণে সক্রিয় অংশগ্রহণ করুন।
শিখার এই উদ্যোগ সংবাদ শিরোনাম হয় দ্রুত। এক সর্বভারতীয় সংবদমাধ্যমের মতে, আইএএএস বাস চালাচ্ছেন এই ঘটনা প্রথম। তার সঙ্গে এই উদ্যোগে বহু সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মীও যোগ দেন। নেটদুনিয়ায় এই ঘটনা ছড়িয়ে পড়তেই বহু নেটিজেন প্রশংসা করতে থাকেন শিখার উদ্যোগের। তবে বিরুদ্ধমত তৈরি হতেও দেরি হয়নি।
অনেকে অভিযোগ করেন ভারী যান চালনার লাইসেন্স না থাকা সত্ত্বেও স্টিয়ারিংয়ে বসেছেন শিখা। শুরু হয় জোর বিতর্ক। বাধ্য হয়েই মুখ খোলেন শিখা। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘‘এ কথা ঠিক আমার ভারী গাড়ি চালানোর লাইসেন্স নেই। সেই জন্যেই আমি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভিতর গাড়ি চালিয়েছি।’’
রাজনৈতিক মহলকে অবশ্য পাশে পেয়েছেন শিখা। কংগ্রেস বিধায়ক প্রিয়াঙ্ক খড়্গে লিখেছেন, ‘‘এটা খুবই অদ্ভুত ব্যাপার। রাজনীতিবিদরা যখন মানুষের জীবন নিয়ে খেলা করেন তখন আমরা চুপ থাকি, অথচ বিএমটিসি-র এমডি বাস চালিয়েছেন বলে আমাদের অসুবিধের অন্ত নেই।’’
প্রসঙ্গত এই মুহূর্তে মোট ১৪০০০ চালক রয়েছেন বিএমটিসির। তার মধ্যে মাত্র একজন মহিলা চালক।