বাগদান অনুষ্ঠানে দুই জেলাশাসক অনন্যা এবং চঞ্চল। ছবি: সংগৃহীত।
দু’জনেই আইএএস কর্তা। দু’জনেই বিয়ে করেছিলেন। দু’জনের বিচ্ছেদও হয়েছে। আর এ বার এই দু’জনেরই চারহাত এক হতে চলেছে। রবিবার বাগদান সম্পন্ন হয়েছে। মাস তিনেকের মধ্যেই বিয়ে। তবে এই দু’জনের জীবনে মিলের এখানেই শেষ নয়। বরং এত বেশি যে দু’জনেই অন্তে মিলে গিয়েছেন।
কনের নাম অনন্যা দাস। অসমের মেয়ে। তবে আইএএস অফিসার হয়ে থেকে ওড়িশাতেই কর্মক্ষেত্র। বর চঞ্চল রানাও শিলচরের এনআইটির ছাত্র। তাঁরও কর্মক্ষেত্র ওড়িশায়।
দু’জনেই ওড়িশার দু’টি জেলার জেলাশাসক। অনন্যা সম্বলপুরের। রানা বোলাঙ্গিরে কর্মরত। রবিবার সম্বলপুরে হবু কনের বাড়িতেই সম্পন্ন হল বাগদানের অনুষ্ঠান। সেখানে উপস্থিত ছিলেন হবু বর-কনের বন্ধু বান্ধব আত্মীয় স্বজনেরা।
দু’জনেই এর আগে বিয়ে করেছিলেন দুই জেলাশাসককে। অনন্যার সঙ্গে বিয়ে হয় ওড়িশার কোরাপুটের জেলাশাসক আবদাল আখতারের। রানার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ওড়িশারই রায়গড়ের জেলাশাসক স্বাধা দেব সিংহের। কিন্তু দু’জনেরই প্রথম বিয়ে বেশিদন স্থায়ী হয়নি। বিচ্ছেদের পর কাছাকাছি আসেন অনন্যা এবং চঞ্চল। অবশেষে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন দু’জনেই।
এর আগে ইউপিএসসি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার শীর্ষ স্থানাধিকারী টিনা দাবি খবরের শিরোনামে এসেছিলেন প্রথমে এক আইএএস কর্তাকে বিয়ে এবং বিচ্ছেদের পর আরও এক আইএএস কর্তাকে বিয়ে করে। ওড়িশার অনন্যা এবং চঞ্চল কিছুটা একই ধরনের নজির গড়লেন।
অনন্যা ২০১৫ সালের গুজরাত ক্যাডারের আইএএস কর্তা। জেলাশাসকের দায়িত্ব পাওয়ার আগে কটক মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের কমিশনার ছিলেন। অন্য দিকে, রানা ২০১৪ সালের ব্যাচের আইএএস অফিসার। দেশের মধ্যে সপ্তম স্থান অধিকার করেছিলেন তিনি।