National

এখনও নিখোঁজ বিমান, বেনজির তল্লাশি অভিযানে ১৩ যুদ্ধজাহাজ, সাবমেরিন

তামিলনাড়ু থেকে আন্দামান যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনার একটি বিমান। গত এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বিমানটির সঙ্গে এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। বিমানটিতে ২৯ জন ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২২ জুলাই ২০১৬ ১৪:০১
Share:

যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, আন্দামানের আকাশেও দেখা যায়নি বিমানটিকে। আশঙ্কা বায়ুসেনায়। —ফাইল চিত্র।

তামিলনাড়ু থেকে আন্দামান যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনার একটি বিমান। গত প্রায় ৮ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বিমানটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। বিমানটিতে ২৯ জন ছিলেন বলে বায়ুসেনা সূত্রে জানানো হয়েছে। ভারতীয় বায়ুসেনা, নৌসেনা এবং উপকূল রক্ষী বাহিনী বঙ্গোপসাগরের বিরাট এলাকা জুড়ে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে।

Advertisement

এত বড় তল্লাশি ্অভিযান ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর সাম্প্রতিক ইতিহাসে নজিরবিহীন। নৌসেনা এবং উপকূল রক্ষী বাহিনীর মোট ১২টি যুদ্ধজাহাজকে এই কাজে লাগানো হয়েছে। পাঠানো হয়েছে একটি সাবমেরিনও। বায়ুসেনার বিমান নিখোঁজ হওয়ার পর প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বার্তা পেয়েই বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১২টি যুদ্ধজাহাজকে সর্বোচ্চ গতিতে বঙ্গোপসাগরের ওই নির্দিষ্ট এলাকার দিকে রওনা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। বিমানটি যদি দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়ে থাকে তা হলে বঙ্গোপসাগরের কোনও অংশে তার ্অংশবিশেষ ভাসতে দেখা যেতে পারে। যদি বিমানটি ডুবে গিয়ে থাকে, তা হলে অবশ্য সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে তা বোঝা সম্ভব নাও হতে পারে। তাই পাঠানো হয়েছে সাবমেরিন। সেটি সমুদ্রের গভীরে তল্লাশি চালাচ্ছে। তল্লাশি অভিযানে একটি ডর্নিয়ের-সহ মোট পাঁচটি বিমানও পাঠিয়েছে নৌসেনা। যে যুদ্ধজাহাজগুলি তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে সেগুলি হল, সহ্যাদ্রি, রাজপুত, রণবিজয়, কমোর্তা, কির্চ, কার্মুক, কোরা, কুঠার, শক্তি, জ্যোতি, ঘড়িয়াল এবং সুকন্যা।

বায়ুসেনা সূত্রে জানানো হয়েছে, শুক্রবার সকাল ৮টা ৩০ মিনিট নাগাদ চেন্নাইয়ের কাছে তাম্বরম বিমানঘাঁটি থেকে রওনা দিয়েছিল বিমানটি। আন্দামানের পোর্ট ব্লেয়ারে নামার কথা ছিল বেলা ১১টা ৩০ নাগাদ। কিন্তু, ওড়ার ১৫ মিনিট পর বিমানটির সঙ্গে শেষ বার যোগযোগ হয়েছিল। সকাল ৯টা ১২ মিনিট নাগাদ রেডারের আওতারও বাইরে চলে যায় বায়ুসেনার ওই বিমান। তার পর থেকে আর কোনও খোঁজ মেলেনি বিমানটির। যে সময় থেকে বিমানটি নিখোঁজ, তখন সেটি বঙ্গোপসাগরের উপর প্রায় ২৩ হাজার ফুট উচ্চতায় ছিল বলে বায়ুসেনার এক কর্তা জানিয়েছেন। দ্রুত বিমানটির উচ্চতা কমছিল বলে জানা গিয়েছে। আবহাওয়া খারাপ থাকার কারণে বায়ুসেনার ওই বিমান কোনও দুর্ঘটনায় পড়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিক অনুমান বিশেষজ্ঞদের। তবে বায়ুসেনা সে বিষয়ে কোনও মন্তব্য এখনও করেনি।

Advertisement

আরও পড়ুন: মহাকাশ থেকে পরমাণু হামলা চালানোর ব্যবস্থা করছে রাশিয়া!

নিখোঁজ বিমানটি এএন-৩২ গোত্রের হওয়াতেই আশঙ্কার মেঘ দেখতে শুরু করেছেন বায়ুসেনা কর্তারা। ১৯৯৯ সালে এই গোত্রেরই একটি বিমান দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়েছিল। ২১ জনকে নিয়ে আকাশে উড়েছিল সেই বিমানটি। দিল্লি বিমানবন্দরে অবতরণের ঠিক আগেই সেটি ভেঙে পড়ে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement