রাজনীতিতে এলে রজনীকান্তের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে চান কমল হাসন। দীর্ঘদিন ধরেই রাজনীতিতে আসার ইঙ্গিত দিয়ে এসেছেন কমল। তবে শুধু ‘রাজনীতি’ করার জন্য রাজনীতিতে আসতে চান না। তাঁর দাবি, তামিলনাড়ুর রাজনীতিতে বদল সম্ভব। রাজনীতিতে এসে সেই পরিবর্তন আনাই লক্ষ্য ৬২ বছরের এই অভিনেতার। তবে রজনীকান্তের সঙ্গে একই দলে না আলাদা দলে থেকে কাজ করতে চান, সে বিষয়ে কিছু বলেননি তিনি। আজ তিনি শুধু বলেছেন, চলচ্চিত্র শিল্পে আমরা প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারি। কিন্তু অনেকে বিষয়েই আমরা পরস্পর আলোচনা করেই চলি।
তবে নিজে দল গড়বেন, নাকি কোনও দলের সঙ্গী হবেন এখনও তা স্পষ্ট করেননি কমল। তাঁর বক্তব্য, ‘‘প্রত্যেক দলেরই নিজস্ব মতাদর্শ থাকে। আমার যা লক্ষ্য, তা কোনও রাজনৈতিক দলের মতাদর্শের সঙ্গে মিলবে বলে মনে হয় না।’’ ডিএমকের অনেক নেতার সঙ্গে কমলের ঘনিষ্ঠতা থাকলেও অনেকের ধারণা, পাল্লা ঝুঁকে সিপিএমের দিকে। সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির সঙ্গে ভাল সম্পর্ক কমলের। এ সপ্তাহের গোড়াতেই বামেদের তরফে জানানো হয়, হায়দরাবাদে পরবর্তী পার্টি কংগ্রেসের জন্য কোনও জনপ্রিয় তারকাকে আমন্ত্রণ জানানা হবে। সম্প্রতি কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের সঙ্গে দেখাও করেন কমল। এতেও জোরালো হয়েছে জল্পনা। তবে বিজেপিতে যাওয়ার সম্ভাবনা পুরোপুরি খারিজ করে দিয়েছেন কমল। অথচ থালাইভার নিজে না ভাঙলেও গেরুয়া শিবিরের তরফে বারবারই উঠে এসেছে রজনীকান্তের নাম। এই অবস্থায় কমল কোন সমীকরণের ভিত্তিতে রজনীকান্তের সঙ্গে কাজ করতে চান, সেটাই প্রশ্ন।
বৃহস্পতিবার কমল বলেছেন, ‘‘রাজনীতিতে আমার প্রথম কাজ হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই। রাতারাতি সব করে ফেলতে পারব, এমন বলছি না। তবে কথা দিচ্ছি, পরিবর্তন আনার চেষ্টা করব। যদি কাজ না করতে পারি, সঙ্গে সঙ্গেই আমাকে বরখাস্ত করবেন। ৫ বছর অপেক্ষা করবেন না।’’