প্রণাম: প্রিভিউ প্রদর্শনে রামদেব ও অমিত শাহ। ছবি: পিটিআই।
তাঁর পতঞ্জলি-র সাম্রাজ্য বিস্তারের ধাক্কায় দেশি-বিদেশি অনেক সংস্থাই কুপোকাত। যোগগুরু রামদেব এ বার পা রাখছেন শিক্ষা জগতে। রামদেব আজ বলেন, ‘‘ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে চাই। বৈদিক শিক্ষা পদ্ধতিতে শুধু দেশ নয়, দুনিয়াটাই বদলে দিতে পারি।’’ এক কোটি শিশুকে শিক্ষা ও সংস্কারের মাধ্যমে বিশ্ব নাগরিক করে তোলার ‘মাস্টার-প্ল্যান’ তৈরি বলে দাবি রামদেবের।
হরিয়ানার অখ্যাত গ্রামের নিরক্ষর পরিবারের সন্তান থেকে যোগগুরু হয়ে ওঠার কাহিনী নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক চ্যানেল ‘স্বামী রামদেব: এক সংঘর্ষ’ টেলি-সিরিয়াল তৈরি করেছে। আজ দিল্লির ছত্রশাল স্টেডিয়ামে তার ‘প্রিভিউ’ প্রদর্শনে হাজির ছিলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ, অরুণ জেটলি, রবিশঙ্কর প্রসাদ, হর্ষবর্ধনের মতো কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরাও। প্রায় ২০ হাজার মানুষ ভিড় করেছিলেন যোগগুরুর জীবনের ঝলক দেখতে। সেই অনুষ্ঠানে অমিত শাহ বলেন, ‘‘জীবনের শুরুতে বাবা রামদেবকে যে এত লড়াই করতে হয়েছে, তা আজই জানলাম। রামদেব গুরুকূলের ছাত্র। ভারতীয় শিক্ষা পদ্ধতির ফসল। আমার অনুরোধ, আপনি ভারতীয় শিক্ষা পদ্ধতিকে যুগের উপযোগী করে তুলুন।’’
পতঞ্জলির বাৎসরিক ব্যবসা এখন ১০ হাজার কোটি টাকা ছাপিয়ে গিয়েছে। অমিত শাহ বলেন, ‘‘স্বদেশি পণ্য প্রচার-প্রসারের কথা অনেকেই বলতেন। কিন্তু কারও কাছে বিকল্প ছিল না। স্বামী রামদেব আয়ুর্বেদিক ও রোজকার ব্যবহারের পণ্যে সেই স্বদেশি বিকল্প দিয়েছেন। এ বার স্বদেশি শিক্ষা পদ্ধতিও সকলের সামনে তুলে ধরুন।’’
ইউপিএ-সরকারের আমলে কালো টাকার বিরুদ্ধে রামদেবের লড়াইয়ের ঘটনাও থাকবে এই টেলি-সিরিয়ালে। অরুণ জেটলির কথায়, আগে থেকেই দুর্নীতি ও কালো টাকা কমাতে অর্থনীতিতে নগদের পরিমাণ কমানোর প্রয়োজনীয়তার কথা বলতেন রামদেব।
জেটলি বলেন, ‘‘উনি যখন কালো টাকার বিরুদ্ধে লড়াই করছিলেন, এমন কোনও আইন ছিল না, যার ওঁর বিরুদ্ধে অপপ্রয়োগ হয়নি। কিন্তু আন্দোলন তৈরি করেও, উনি ক্ষমতার রাজনীতি থেকে দূরে থেকেছেন।’’