প্রতীকী ছবি।
দেহ সৎকারের জন্য প্রয়োজনীয় টাকা নেই। তাই মেয়ের পচাগলা মৃতদেহ নর্দমায় ফেলে দিলেন বাবা। হায়দরাবাদের মৈলারদেবপল্লির ঘটনা।
মৈইলারদেবপল্লি থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৫ মে বাড়িতেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছিলেন ভবানী নামে এক কিশোরী। ঠিক কী কারণে তিনি আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছিলেন তা যদিও এখনও স্পষ্ট নয়। তবে মেয়ের দেহ সৎকারের জন্য অর্থ ছিল না বাবার কাছে। দিশাহারা কেমিক্যাল কারখানার কর্মী বছর ৪৫-এর পেনথাইয়া হাজার চেষ্টা করেও অর্থ জোগাড় করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত বাড়ির কাছের একটি আবর্জনা ভর্তি নর্দমাতেই মেয়ের মৃতদেহ ফেলে দেন তিনি। এর পর নর্দমায় মানুষের মাথার খুলি ভাসতে দেখেন স্থানীয় কিছু মানুষ। খবর যায় পুলিশের কাছে। শুরু হয় তল্লাশি। গত ৩১ মে ভবানীর পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
আরও পড়ুন: ট্রেনের তলায় পড়েও অলৌকিক ভাবে মৃত্যুর মুখ থেকে বাঁচলেন তরুণী!
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, বেশ কিছুদিন ধরে নিরুদ্দেশ ছিলেন ভবানী। নর্দমা থেকে তার পচাগলা দেহ উদ্ধার হওয়ার পর তাই পেনথাইয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। ভবানীর বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ উঠেছিল বলেই সম্ভবত সে নিজেকে শেষ করে দিয়েছে, জেরায় পেনথাইয়া নাকি এমনই জানিয়েছেন। অর্থের অভাবে সৎকার করতে পারেননি, তাই দেহ নর্দমায় ফেলে দিয়েছিলেন, পেনথাইয়া পুলিশকে এমনও জানিয়েছেন। তবে পেনথাইয়াকেও সন্দেহের তালিকার বাইরে রাখা হচ্ছে না বলে পুলিশ সূত্রের খবর। মৈইলারদেবপল্লি থানার এসআই জে নাগচারী জানান, গত বছর আত্মহত্যা করেছিলেন পেনথাইয়ার ছেলেও।