স্নানঘরের মেঝে থেকে সাইমা এবং সৈয়দের দেহ উদ্ধার করা হয়। প্রতীকী ছবি।
মাস দুয়েক আগে বিয়ে হওয়া এক চিকিৎসক দম্পতির দেহ পাওয়া গেল তাঁদের বাড়িরই স্নানঘর থেকে। হায়দরাবাদের ওই দম্পতির বয়স তিরিশও ছোঁয়নি। দু’জনেই তাঁদের কর্মস্থল সূর্যপেট থেকে হায়দরাবাদের বাড়িতে ফিরেছিলেন ২৪ ঘণ্টা আগে। তার পর তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরেই বাড়িতে ঢুকে দম্পতির দেহ উদ্ধার করে পরিবারের অন্যেরা।
হায়দরাবাদের খাদেরবাগের বাসিন্দা ওই দম্পতি। ২২ বছরের উম্মে মোহিমিন সাইমা জুনিয়র ডাক্তার। তিনি ডাক্তারির ফাইনাল ইয়ারের ছাত্রী। তাঁর স্বামী চিকিৎসক সৈয়দ নিসারুদ্দিনের বয়স ২৬। তিনি সরকারি মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক। দু’মাস আগে দু’জনের বিয়ে হয়। তার পর পড়াশোনা এবং কর্মসূত্রেই সূর্যপেটে থাকতেন তাঁরা। বুধবারই সেখান থেকে বাড়ি ফেরেন।সাইমার বাবা জানিয়েছেন, মেয়ের সঙ্গে বুধবার কথা হয়েছিল তাঁর। তখন সাইমা তাঁকে বলেছিলেন, বাড়ি ফিরে ফোন করবেন। সেই ফোন আর আসেনি। টানা ২৪ ঘণ্টা মেয়ে-জামাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে বৃহস্পতিবার তাঁদের বাড়িতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সাইমার পরিবার।
জানলা দিয়ে ভিতরে ঢুকে স্নানঘরের মেঝেয় সাইমা এবং সৈয়দের দেহ পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। পুলিশ এই ঘটনায় রহস্যজনক মৃত্যুর মামলা দায়ের করেছে। তবে প্রাথমিক তদন্তে তাঁরা মনে করছে, গিজারের তার থেকে শক লেগেও দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। সাইমার বাবার অনুমান, স্নানঘরে তড়িদাহত সাইমাকে উদ্ধার করতে গিয়ে মৃত্যু হয় সৈয়দেরও। পুলিশ ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে। দু’জনেরই দেহ ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানিয়া হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।