জেলে হানিপ্রীত। ছবি: সংগৃহীত।
প্রতি বছরই ধুমধাম করে দীপাবলি পালন করতেন ডেরাতে। কিন্তু এ বছরটা কেটেছে একেবারেই অন্য রকম ভাবে। না আছে সেই জৌলুস, না আছে সেই উচ্ছ্বাস! দীপাবলিটা অম্বালার জেলের ১১ নম্বর সেলে বসেই কাটালেন গুরমিত রাম রহিমের ‘পালিত কন্যা’ হানিপ্রীত।
আরও পড়ুন: বাবরির মতো ধ্বংস হতে পারে তাজও! আশঙ্কা আজমের
দিপাবলীর দিনে জেলে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন তাঁর পরিবারের লোকজনেরা— বাবা-মা, ভাই, বোন এবং ভাইয়ের স্ত্রী। জেল সূত্রে খবর, তাঁদের দেখেই কান্নায় ভেঙে পড়েন হানিপ্রীত। জেলের ইন্টারকমে হানির সঙ্গে প্রায় ৩৫ মিনিট ধরে কথোপকথন চলে তাঁদের। হানিপ্রীতের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন তাঁর আইনজীবীও। কিন্তু তাঁকে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
জেল সূত্রে আরও জানানো হয়েছে, পরিবারের লোকেরা হানিপ্রীতের জন্য উপহারও নিয়ে আসেন। তাঁকে এক বাক্স মোমবাতি ও মিষ্টি দেন তাঁরা। প্রথম দিকে হানিপ্রীত তা নিতে অস্বীকার করলেও জোরাজুরি করায় পরে সেই উপহার নেন।
আরও পড়ুন: নিলামে উঠছে দাউদের ৬ সম্পত্তি
পুলিশ সূত্রে খবর, ধরা পড়ার পর থেকেই জেলে বিষণ্ণ রয়েছেন হানিপ্রীত। প্রথম রাতটা প্রায় না খেয়ে, না ঘুমিয়েই কাটিয়েছেন জেলে। ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ানো, গুরমিতকে নিয়ে পালানোর ছকের অভিযোগ ছাড়াও আরও অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। সম্প্রতি রাজস্থানের গুরুসার মোদিয়া থেকে কয়েক কোটি টাকা সম্পত্তির নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। তাদের দাবি, এগুলো সবই হানিপ্রীতের। মুম্বই, দিল্লি, হিমাচলপ্রদেশ, পঞ্জাব-সহ আরও বেশ কয়েকটি জায়গায় তাঁর নামে বেনামী সম্পত্তি রয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ।