সমাজের এই বিপন্ন সময়ে নাগরিকদের সঠিক পথ দেখাতে পারে সংবাদমাধ্যমই— প্রয়াত সাংবাদিক আবুল কালাম মজুমদার ও ভাষা-সেনানী গীতা দাসের স্মরণ অনুষ্ঠানে এমনই মত প্রকাশ করলেন বক্তারা।
হাইলাকান্দি প্রেস ক্লাবে ওই অনুষ্ঠানে আবুল কালামকে এক লড়াকু সাংবাদিক হিসেবে অভিহিত করা হয়। হাইলাকান্দি প্রেস ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল কুমার দাসের সভাপতিত্বে ওই স্মরণ অনুষ্ঠানে শহরের কয়েক জন বিদ্বজ্জন জানান, ৬০-এর দশকে লালার প্রত্যন্ত কাটাগাঁও এলাকায় একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা ছাপতে শুরু করেন আবুল সাহেব। গ্রামগঞ্জের খবরকেই তিনি গুরুত্ব দিতেন। বক্তাদের কয়েক জন বলেন— ‘ভাষা-সেনানী গীতাদেবী যে সময় আন্দোলনে জুড়েছিলেন তখন এই অঞ্চলের মহিলারা সামাজিক কাজকর্মে সে ভাবে এগিয়ে আসতেন না।’ কবি সুশান্ত চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সংবাদপত্রই কোনও আন্দোলনের দিশা নির্দেশ করে। সাধারণ মানুষ সংবাদমাধ্যমের উপর ষথেষ্ট ভরসা রাখেন।’’ কবি আশুতোষ দাস, প্রবীণ সাংবাদিক সন্তোষ মজুমদারও অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন। প্রেস ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বলবাবু বলেন, ‘‘আন্দোলন ও সংবাদপত্রের গুরুত্ব দিন দিন বাড়ছে। দুর্নীতি, অপশাসন থেকে এ সবের মাধ্যমেই মুক্তির পথের হদিস মিলতে পারে।’’
বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনের হাইলাকান্দি জেলা সমিতি ও শহর আঞ্চলিক সমিতিও প্রয়াত দুই ব্যক্তির স্মৃতিসভার আয়োজন করেছিল। হাইলাকান্দি বঙ্গ ভবনে পরিতোষ চন্দ্র দত্তের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় সাংবাদিক আবুল কালাম মজুমদার এবং ভাষা সেনানী গীতা দাসের জীবন নিয়ে আলোচনা করেন বরাক বঙ্গের কর্তা হীরকজ্যোতি চক্রবর্তী, ভাষা-সেনানী সুকোমল পাল, সংস্থার জেলা সম্পাদক যজ্ঞেশ্বর দেব, সন্তোষ মজুমদার, সুরজিত দেব।