একশো কোটি টিকাকরণ সম্পূর্ণ হল বৃহস্পতিবার। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
বৃহস্পতিবার টিকাকরণে একশো কোটির মাইলফলক পেরলো ভারত। বিশ্বের দ্বিতীয় দেশ হিসেবে টিকাকরণে একশো কোটির লক্ষ্যমাত্রা বৃহস্পতিবার ছুঁয়ে ফেলল দেশ। এর আগে গত জুনে এই মাইলফলক পেরিয়েছে চিন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য বলছে, ৬ অগস্টের মধ্যে ৫০ কোটি টিকাকরণ হয়েছিল দেশে। ১০০ কোটি টিকাকরণের জন্য লেগেছে আরও ৭৬ দিন।টিকাকরণে ১০০ কোটির মাইলফলক ছোঁয়ার পরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইট করেন। তিনি লেখেন, ‘ভারত ইতিহাস রচনা করল। দেশের বিজ্ঞানের জয় দেখলাম আমরা। ১৩০ কোটি দেশবাসীর একতার সাক্ষী থাকলাম আমরা। ১০০ কোটি টিকাকরণ সম্পূর্ণ হল দেশে। চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী এবং এই বিশাল কর্মযজ্ঞে সামিল সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।’
শুধু তাই নয়, বৃহস্পতিবার ফের আড়াই কোটি টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে কেন্দ্র। এর আগে এক দিনে আড়াই কোটি টিকাকরণ করে রেকর্ড করেছিল দেশ। ঘটনাচক্রে সে দিন ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ৭১তম জন্মদিন।
টিকাকরণের নিরিখে দেশের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সে রাজ্যে টিকাকরণ হয়েছে ১২ কোটি ২১ লক্ষ ৪৮ হাজার ৮৫৯। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র। তৃতীয় স্থানে পশ্চিমবঙ্গ। এ রাজ্যে সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত টিকাকরণ হয়েছে ৬ কোটি ৮৫ লক্ষ ১৫ হাজার ৬১৭। তার পরই রয়েছে গুজরাত এবং মধ্যপ্রদেশ। কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য বলছে, এখনও পর্যন্ত ৭৫ শতাংশ পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তি প্রথম টিকা পেয়েছেন। ৩১ শতাংশ পেয়েছেন দু’টি টিকাই। জাতীয় স্বাস্থ্য সংস্থার সিইও আরএস শর্মা জানিয়েছেন, প্রতি সেকেন্ডে ৭০০টি টিকাকরণ হয়েছে।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
টিকার এই ‘ঐতিহাসিক’ সফরে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবীয় সরকারের এই কর্মসূচিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়েছেন। ১০০ কোটি টিকার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হলেই দিল্লির লালকেল্লায় বৃহত্তম জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে বলে সূত্রের খবর। ঠিক ন’মাস আগে গত ১৬ জানুয়ারি করোনা প্রতিরোধে দেশে বৃহত্তম টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হয়। তার মধ্যেই মার্চ-এপ্রিলে দেশে আছড়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। দেশে হাহাকার পড়ে যায়। মৃত্যু হয় বহু মানুষের। কিন্তু তার মধ্যেও জোরকদমে টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের দিকে এগিয়েছে দেশ। কোমর্বিডিটি রয়েছে এমন ৪৫ বছর বয়সি, পঁয়তাল্লিশোর্ধ্ব এবং ষাটোর্ধ্বদের টিকাকরণ শুরু হয় গত ১ মার্চ থেকে। ১৮-৪৫ বছর বয়সিদের টিকাকরণ শুরু হয় গত ১ মে।