অপেক্ষা: দলাই লামাকে স্বাগত জানাতে তাওয়াং মঠের বাইরে দাঁড়িয়ে খুদেরা। শুক্রবার। ছবি: রয়টার্স।
তীব্র ঠাণ্ডা। কখনও বৃষ্টি, কখনও বা বরফ। তার মধ্যেও প্রায় ১৪ হাজার ফুট উঁচুতে ‘জীবন্ত বুদ্ধ’কে দেখতে মানুষের ভিড়। চিনের বিস্তর আপত্তি উড়িয়ে শেষ পর্যন্ত আজ তাওয়াংয়ে পা দিলেন চতুর্দশ দলাই লামা তেনজিং গাৎসো।
গত ৪ এপ্রিল তাওয়াং আসার কথা ছিল তাঁর। তখন থেকেই শহরের রাস্তা ঝাঁট দিয়ে, লাল কার্পেট পেতে অপেক্ষা করছিলেন তাওয়াংবাসী। কিন্তু মন্দ আবহাওয়ায় যাত্রা পিছিয়ে যায় তিন দিন। আজ বিকেলে তাওয়াং পৌঁছে মানুষের ভালবাসায় আপ্লুত দলাই লামা সকলকে ধন্যবাদ দেন। অন্য লামাদের উদ্দেশে বলেন, ‘‘এই যে এত মানুষ এত কষ্ট সহ্য করে আমার জন্য দাঁড়িয়ে থাকলেন, তিব্বতেরও কত মানুষ আমার উপরে এত বছর ধরে ভরসা করে থাকলেন, কিন্তু তার বিনিময়ে আমি তো বলার মতো কিছুই দিতে পারলাম না!’’
এ দিন দিরাং থেকে তাওয়াংয়ের ৭০ কিলোমিটার রাস্তার বিভিন্ন স্থানে আট থেকে আশির গ্রামবাসীরা দলাই লামার কনভয় দখতে রাস্তায় দাঁড়িয়েছিলেন। নিরাশ করেননি তিনি। অনেক জায়গায় গাড়ি থামিয়ে মানুষকে আশীর্বাদ করেন। জংয়ে মধ্যাহ্নভোজ সেরে দেখা করেন গ্রামবাসীদের সঙ্গে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তাওয়াংয়ের মন-পা উপজাতির প্রতিনিধি পেমা খান্ডু ও স্পিকার টি এন থন্ডক। গত বার ২০০৯ সালে পেমার বাবা, তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী দোর্জি খান্ডুই দলাই লামাকে তাওয়াংয়ে নিয়ে এসেছিলেন।
আরও পড়ুন: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বসতে চান শেখ হাসিনা
শুধু চিনকে নরমে-গরমে বার্তা দেওয়াই নয়, বিরোধী রাজনীতিকদের অনেকে মনে করছেন, রাজ্যে খান্ডু পরিবারের ‘কর্তৃত্ব’ বজায় রাখতেই এ বার দলাই লামাকে তাওয়াংয়ে আনার ব্যাপারে বেশি আগ্রহী ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু। তাই তিনি ধর্মশালায় গিয়ে দলাই লামাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে এসেছিলেন।
মঠেই থাকবেন দলাই লামা। গত দু’দিন ধরে চিন নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন দলাই লামা। তবে তাওয়াংয়ে তাঁর সফর ধর্মাচরণেই সীমাবদ্ধ রাখা হচ্ছে। আগামী কাল থেকে তিন দিন তাওয়াং স্টেডিয়ামে বৌদ্ধ ধর্মের বিভিন্ন দিক নিয়ে তিনি বলবেন।