নিটে দুর্নীতির অভিযোগে বিক্ষোভ। — ফাইল চিত্র।
কৃষক পরিবারের ছেলে। বাবা দিনরাত খেটে ছেলের পড়াশোনার খরচ জোগাতেন। সেই ছেলের নাম নিট-দুর্নীতির অভিযোগে জড়িয়ে যাওয়ায় হতবাক গ্রামবাসী। তদন্তকারী দল অনুরাগ যাদব নামে ওই পরীক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে। তাঁর বয়ানের কিছু অংশ ইতিমধ্যেই ঘুরছে সমাজমাধ্যমে। যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২২ বছর বয়সি অনুরাগ নিটকাণ্ডে ধৃত, বিহারের দানাপুর নগর পরিষদের ইঞ্জিনিয়ার সিকন্দর প্রসাদ যাদবেন্দুর ভাগ্নে। সিকন্দরকে নিটে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে পুলিশ ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে। অনুরাগের দাবি, সিকন্দরই তাঁকে বলেছিলেন যে, পরীক্ষার সমস্ত বন্দোবস্ত করা হয়েছে। এর পর তাঁর হাতে একটা প্রশ্নপত্রও তুলে দেওয়া হয়। প্রশ্নের সঙ্গে দেওয়া হয় উত্তরপত্রও। পরীক্ষা দিতে গিয়ে সেই প্রশ্নপ্রত্রের সঙ্গে হুবহু মিল খুঁজে পান অনুরাগ।
অনুরাগের গ্রামের বাড়ির পরিবেশ থমথমে। গ্রামবাসীদের চোখে মুখে অবিশ্বাসের ছায়া। প্রায় প্রত্যেকের মুখে একটাই কথা, ‘‘সংবাদমাধ্যম থেকে অনুরাগের গ্রেফতারির কথা পেরেছি।’’ একই সঙ্গে তাঁরা এ-ও বলছেন, কী ভাবে অনুরাগ এই চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়লেন তা বুঝে উঠতে পারছেন না।
অন্য দিকে, নিট-এর প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে মুখ খুলেছেন ‘মূলচক্রী’ অমিত আনন্দও। ‘এবিপি নিউজ়’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের মুখে অমিত জানিয়েছেন, ৩০-৩২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে পড়ুয়াদের প্রশ্নপত্র বিক্রি করা হয়েছিল! অমিত জানিয়েছেন, পরীক্ষার আগের দিন তাঁর হাতে প্রশ্নপত্র আসে। তাই টাকা দেওয়া পরীক্ষার্থীরা প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় পেয়েছিলেন। ইতিমধ্যেই নিট-এর প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে অমিত-সহ মোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক নিট পরীক্ষায় অনিয়ম নিয়ে বুধবার বিহার পুলিশের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে। বিহারে এর আগেও বিভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস-সহ অন্যান্য বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই দেশের বেশ কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।