মহুয়া মৈত্র। —ফাইল চিত্র।
, ২৩ অক্টোবর: মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্তে তিনি কোনও চাপের মুখে হলফনামা দেননি বলে এক সাক্ষাৎকারে জানালেন শিল্পপতি দর্শন হিরানন্দানি।
এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘দুবাইয়ে বসে মহুয়া মৈত্রের সাংসদ আই ডি ব্যবহার করে সংসদের ওয়েবসাইটে প্রশ্ন পোস্ট করেছিলাম। আমি গুরুতর ভুল করেছি। বিষয়টি দুঃখজনক।’’ তাঁর বক্তব্য, ‘‘এ ক্ষেত্রে আমার নামে সরাসরি অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগের ক্ষেত্রে আমরা সত্য বলাই পছন্দ করি। এ ক্ষেত্রেও তাই সত্যই বলেছি। কেউ আমাকে হলফনামা দিতে চাপ দেননি।’’ তাঁর হলফনামা সংসদের এথিক্স কমিটি ও সিবিআইকে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন দর্শন। টাকা ও মূল্যবান উপহারের বিনিময়ে মহুয়া নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত আদানি গোষ্ঠীকে বিব্রত করতে দর্শন হিরানন্দানির হয়ে সংসদে প্রশ্ন উত্থাপন করেছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে ও আইনজীবী জয় অনন্ত দেহাদ্রাই। দুবাইয়ে বসে মহুয়ার আই ডি ব্যবহার করে দর্শন প্রশ্ন পোস্ট করেছিলেন বলেও অভিযোগ করেন নিশিকান্ত। তা এথিক্স কমিটির বিবেচনাধীন। সিবিআইয়ের কাছেও অভিযোগ জানিয়েছেন জয় অনন্ত।
মহুয়া পাল্টা মানহানির মামলা করেছেন নিশিকান্ত ও জয়ের বিরুদ্ধে। এরই মধ্যে সামনে আসে দর্শনের হলফনামা। যাতে নিশিকান্তের অভিযোগ তিনি অনেকটাই মেনে নিয়েছেন বলে দাবি করে সংবাদ সংস্থা পিটিআই। এ বার সাক্ষাৎকারেও কার্যত সে কথাই মেনে নিলেন দর্শন।
হলফনামা কার কাছে জমা দেওয়া হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মহুয়া। পাশাপাশি তিনি দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে দর্শন হিরানন্দানির ‘মাথার কাছে বন্দুক ধরে’ সাদা কাগজে স্বাক্ষর করানো হয়েছে। রাজনীতিকদের একাংশের মতে, দর্শন হিরানন্দানির বক্তব্য সত্য প্রমাণিত হলে তা সংসদের অধিকার ভঙ্গের শামিল।