বেতনহীন, আত্মঘাতী বাঙালি

গত ২৬-২৭ মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না এইচপিসির নগাঁও ও কাছাড় কলের কর্মীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুয়াহাটি ও শিলচর শেষ আপডেট: ০১ মে ২০১৯ ০০:৪৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

রবিবার থেকে কলকাতায় থাকা স্ত্রী এবং দিল্লি ও কেরলে পাঠরত দুই মেয়ের ফোন ধরছিলেন না। শনিবার থেকে যাচ্ছিলেন না অফিসেও। শেষ পর্যন্ত স্ত্রীর ফোন পেয়ে গত কাল বিকেলে সহকর্মীরা অসমের নগাঁওয়ের হিন্দুস্তান পেপার কর্পোরেশনের (এইচপিসি) টাউনশিপের অফিসার আবাস থেকে ইউটিলিটি অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন ম্যানেজার বিশ্বজিৎ মজুমদারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করলেন।

Advertisement

গত ২৬-২৭ মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না এইচপিসির নগাঁও ও কাছাড় কলের কর্মীরা। এই নিয়ে নগাঁওয়ে তিন জন আত্মঘাতী হলেন। বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে আরও ৩১ জনের। কাছাড় ও নগাঁওয়ের কারখানা মিলিয়ে আত্মহত্যা, বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৫৫ হল। পৈত্রিক বাড়ি কালনায় হলেও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার বিশ্বজিৎবাবু সপরিবারে কলকাতার বেলগাছিয়ায় থাকতেন। স্ত্রী শিক্ষিকা। যমজ মেয়ে। এক কন্যা দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে নৃতত্বে এমফিল ও অন্য জন কেরলে জিনতত্ত্বে গবেষণা করছেন। আগে কাছাড়ের পাঁচগ্রাম কাগজ কলে নিযুক্ত বিশ্বজিৎবাবু ২০১১ থেকে নগাঁওয়ের জাগি রোড কারখানায় যোগ দেন। মেয়েদের উচ্চশিক্ষায় কার্পণ্য রাখতে চাননি তিনি। কিন্তু ২০১৭ সালের মার্চ থেকে কারখানা ও বেতন বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকে সঞ্চয় ভেঙে চলতে হচ্ছিল তাঁকে। তবু তীব্র অর্থসঙ্কটের আঁচ পরিবারে পড়তে দেননি।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement