Sabarimala

মহিলা সাংবাদিক পাঠাবেন না, শবরীমালায় সংবাদমাধ্যমকে হুঁশিয়ারি ‘হিন্দুত্ববাদী’দের

তাঁদের দাবি, ‘‘দেশ বিদেশ থেকে শবরীমালা মন্দিরের ভক্তরা এসে পৌঁছেছেন মন্দির চত্বরে। যে কোনও মূল্যে তাঁরা মন্দিরে ১০ থেকে ৫০ বছর বয়সী মহিলাদের প্রবেশ আটকাতে বদ্ধপরিকর।’’

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

কোচি শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০১৮ ১৬:৪৯
Share:

অবরোধ। এবার মহিলা সাংবাদিকদেরও ঢুকতে না দেওয়ার হুঁশিয়ারি। ছবি: এএফপি।

সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর সোমবার ফের খুলছে শবরীমালার আয়াপ্পাস্বামী মন্দির। তার ঠিক আগেই একযোগে সংবাদমাধ্যমগুলিকে হুঁশিয়ারি দিল হিন্দু সংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চ। শবরীমালায় যেন কোনও মহিলা সাংবাদিক পাঠানো না হয়, এই মর্মেই বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমকে চিঠি পাঠাল তারা।

Advertisement

প্রথম ধাপে শবরীমালা মন্দিরের দরজা খুলেছিল ১৭ অক্টোবর থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত। যদিও ১০ থেকে ৫০ বছর বয়সী কোনও মহিলা এখনও পর্যন্ত আয়াপ্পাস্বামীর বিগ্রহ দর্শন করতে পারেননি। বেশ কয়েকটি চেষ্টা এসে থেমে গিয়েছে মন্দিরের দরজার সামনে।

দ্বিতীয় পর্যায়ে মন্দিরের দরজা খুলছে সোমবার। যদিও তা শুধু মাত্র এক দিনের জন্য। সোমবার সন্ধ্যা থেকে মঙ্গলবার রাত ১০টা অবধি খোলা থাকবে মন্দির। তার ঠিক আগেই কড়া অবস্থান নিয়ে নিজেদের উপস্থিতি জানান দিল হিন্দু সংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চ শবরীমালা কর্ম সমিতি, যাদের সঙ্গে আছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মতো সংগঠনও।

Advertisement

মন্দিরে যাওয়ার রাস্তায় কড়া পুলিশি প্রহরার ব্যবস্থা করেছে কেরলের পিনারাই বিজয়ন সরকার। ছবি: পিটিআই।

হিন্দু মঞ্চের দাবি, ১০ থেকে ৫০ বছর বয়সী মহিলা সাংবাদিকের উপস্থিতিতেও ঘটনাস্থলে উত্তেজনা তৈরি হতে পারে। চিঠিতে তারা জানিয়েছে, ‘‘১০ থেকে ৫০ বছর বয়সী মহিলা ভক্তদের প্রবেশ নিয়ে আপনাদের পক্ষে বা বিরুদ্ধে মত থাকতেই পারে। কিন্তু এমন কিছু সিদ্ধান্ত আপনারা নিশ্চয়ই নেবেন না, যাতে পরিস্থিতি খারাপ হয়। ’’

আরও পড়ুন: ‘মোদী অ্যানাকোন্ডার মতো...’, তোপ চন্দ্রবাবু সরকারের অর্থমন্ত্রীর

তাঁদের দাবি, ‘‘দেশ বিদেশ থেকে শবরীমালা মন্দিরের ভক্তরা এসে পৌঁছেছেন মন্দির চত্বরে। যে কোনও মূল্যে তাঁরা মন্দিরে ১০ থেকে ৫০ বছর বয়সী মহিলাদের প্রবেশ আটকাতে বদ্ধপরিকর।’’

আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্র রাজভবনের দিকে তাক করা বিশাল দুই কামান! জানতই না কেউ?

এক দিনের বিগ্রহ দর্শন ঘিরে মন্দিরের যাওয়ার পাঁচ কিলোমিটার পথ এখন রীতিমতো যুদ্ধক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে। ব্যারিকেড বানিয়ে তৈরি ভক্তরা। পাশাপাশি কড়া পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। ক’দিন আগেই বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ হিন্দু মোর্চার পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। তার পর থেকেই নয়া বলে বলীয়ান হয়ে উঠেছে হিন্দু সংগঠনগুলি। মহিলা সাংবাদিকদের ঢুকতে না দেওয়ার হুঁশিয়ারিতে সেই শক্তিই সামনে এল বলে মনে করছেন অনেকে।

(কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, গুজরাত থেকে মণিপুর - দেশের সব রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement