বন্দুক হাতে মিছিলের মুখোমুখি অভিযুক্ত। ছবি: রয়টার্স
জামিয়ার বাইরে শান্তিপূর্ণ মিছিলে গুলি চালাতে দেখা গিয়েছে তাকে। ১৭ বছরের ওই বন্দুকবাজের গুলিতে জখম হয়েছেন কাশ্মীরি যুবক শাদাব ফারুক। এই ‘সাহসিকতার’ জন্যে পুরস্কৃত করতে চায় হিন্দু মহাসভা। এই সংগঠন মনে করে ‘‘নাথুরামের যোগ্য উত্তরসূরি ও।’’ জামিয়ার বাইরে গুলিচালনা নিয়ে নিয়ে মুখ খুলেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘কে টাকা জোগাল এই বন্দুকবাজকে?’’
শুক্রবার হিন্দুমহাসভার মুখপাত্র অশোক পাণ্ডে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমরা এই ছেলেটির জন্যে ছেলেটির জন্যে গর্বিত। জামিয়ার অ্যান্টি ন্যাশনালদের মুখ বন্ধ করতে উদ্যত হয়েছিল। একেবারে আজাদি দিয়ে দিতে চেয়েছিল।’’ অশোক পাণ্ডের আরও দাবি, ‘‘শরজিলের মতো দেশদ্রোহীদের গুলি করেই মারা উচিত।’’
সম্প্রতি দিল্লি ভোটের প্রচারে গিয়ে ‘দেশ কে গদ্দারোঁ কো, গোলি মারো শালো কো’ স্লোগান তুলেছেন কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। ৫ জানুয়ারি জেএনইউয়ে কাপড়ে মুখ ঢেকে দুষ্কৃতীরা চড়াও হওয়ার দিনেও এই স্লোগান শোনা গিয়েছিল সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠন এবিভিপি-র সমর্থকদের মুখে। ফলে বিরোধীরা এই ঘটনার জন্যে গেরুয়া শিবিরকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছে । বাজেট অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে আজ সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলেন রাহুল গাঁধী। ‘‘কে টাকা জোগাল এই বন্দুকবাজকে?’’প্রশ্ন রাহুলের। রাজনৈতিক মহলের অনুমান রাহুল ঘুরিয়ে শাসক দলের দিকেই আঙুল তুলছেন। বৃহস্পতিবারই মুখ খুলেছিলেন রাহুল। তিনি মহত্মা গাঁধীকে উদ্ধৃত করেন। লেখেন, ‘‘এই অবস্থায় জীবনের মূল্যেই মাথা না নোয়ানোর শিক্ষা অর্জন করতে হবে।’’
আরও পড়ুন:হাতে আর একদিন, নির্ভয়া কাণ্ডে দণ্ডিত পবন ফের সুপ্রিম কোর্টে
আরও পড়ুন:চিনে মৃত বেড়ে ২১৩, করোনাভাইরাস নিয়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করল হু
মহাত্মা গাঁধীর ৭২তম মৃত্যুবার্ষিকীতে সিএএ বিরোধী মিছিলের আয়োজন করেছিল জামিয়ার পড়ুয়ারা। হোলি ফ্যামিলি হাসপাতালের সামনে বসানো ব্যারিকেড দিয়ে এই মিছিল আটকানো হয়। এগোতে না পেরে ব্যারিকেডের সামনেই রাস্তায় বসে পড়েন আন্দোলনকারীরা। সেই সময়ই তাঁদের উপর চড়াও হন ওই কিশোর। পিস্তল উঁচিয়ে সে জয় শ্রীরাম ধ্বনি তুলতে থাকে। ‘ইয়ে লো আজাদি’ বলে গুলিও চালায় সে। দেখা যায়,ফেসবুকে রীতিমতো জেহাদ ঘোষণা করেই এই মিছিলে গিয়েছিল উত্তরপ্রদেশের গৌতমবুদ্ধ নগরেরে বাসিন্দা ওই কিশোর। বন্দুক হাতে লাইভ ভিডিয়োও করেছিল সে।