এনআরসি-র নামে রাজ্যবাসীকে বিভাজিত করার ষড়যন্ত্র চলছে। এই অভিযোগ এনেছে হিন্দু লিগ্যাল সেল। তাঁরা এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও অসমের রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি করেন। জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে তাঁদের উদ্দেশে স্মারকপত্র পাঠিয়েছেন আজ।
হিন্দু লিগ্যাল সেলের রাজ্য আহ্বায়ক ধর্মানন্দ দেব বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অসমে রাষ্ট্রীয় নাগরিকপঞ্জি নবীকরণের কাজ চলছে। যে সব আইনের ভিত্তিতে এই কাজ চলছে, সেগুলির কোথাও উল্লেখ নেই, নাগরিকত্ব যাচাইয়ের পর আবার তাদের মধ্যে প্রকারভেদ থাকবে। সুপ্রিম কোর্টের কোনও নির্দেশিকায় এমনটা বলা হয়নি। কিন্তু আচমকা এনআরসি-তে ‘অরিজিনাল ইনহেবিটেন্ট’ বলে একটি গোষ্ঠীকে চিহ্নিত করে তাদের নামের পাশে ওআই লেখার প্রক্রিয়া চলছে। একে বেআইনি বলে উল্লেখ করেন হিন্দু লিগাল সেলের কর্মকর্তারা।
ধর্মানন্দবাবু বলেন, ‘‘ভারতের রেজিস্ট্রার জেনারেলের নির্দেশিকাতেও কারা ‘অরিজিনাল ইনহেবিটেন্ট’ বা আদি বাসিন্দা বলে বিবেচিত হবে, তা জানানো হয়নি। এ ছাড়া, এনআরসি-র ফর্ম বিলি ব গ্রহণের সময় এই তত্ত্ব রাজ্যবাসীকে জানানো হয়নি।’’ ফলে ইচ্ছামতো কাউকে ‘অরিজিনাল ইনহেবিটেন্ট’ লিখে দেওয়ার ব্যাপার তাঁরা মানতে পারেন না বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও রাজ্যপালকে জানিয়ে দেন তাঁরা।
আজ সাংবাদিক সম্মেলনে এই নিয়ে ধর্মানন্দবাবু ছাড়াও মত বিনিময় করেন মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্য, রঞ্জু দেব, প্রশান্ত দাস।
এ দিকে, একই বিষয়ে আগামী কাল মতবিনিময়ের জন্য সভা ডেকেছে ইয়ুথ এগেনস্ট সোসিয়াল ইনজাস্টিস (ইয়াসি)। বিকেল সাড়ে তিনটেয় মধ্যশহরে এই সভা হবে বলে জানিয়েছেন ইয়াসি সংস্থার প্রধান সঞ্জীব রায়।