ভারী বৃষ্টিতে নাজেহাল জম্মু-কাশ্মীর। ছবি: পিটিআই।
এক দিকে ভারী বৃষ্টি, অন্য দিকে তুষারপাত, সঙ্গে ধস— এই তিনের জেরে গত দু’দিন ধরে নাজেহাল জম্মু-কাশ্মীরের বিস্তীর্ণ অংশ। বেশ কিছু দিন ধরেই পাহাড়ি এলাকায় তুষারপাত হচ্ছে। কোথাও ভারী, কোথাও আবার হালকা তুষারপাত হচ্ছে। বেশ কিছু জায়গায় তুষারধসও নেমেছে। তুষারপাতের মধ্যেই আবার ভারী বৃষ্টি জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতিকে আরও সঙ্কটময় করে তুলেছে। যার জেরে আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে কাশ্মীর উপত্যকা এবং রিয়াসি জেলায় সমস্ত স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
গত কয়েক দিন ধরেই তুষারপাতের পাশাপাশি কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। আর এই বৃষ্টিতে হড়পা বানের জেরে বেশ কয়েকটি জায়গায় ধস নেমে বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পুঞ্চের বহু জায়গায় ধস নামার খবর পাওয়া গিয়েছে। মান্ডির বেদার গ্রামে ধসের জেরে বহু বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। বিশেষ করে উত্তর কাশ্মীরের হান্দোয়ারা এবং কুপওয়ারায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। জলমগ্ন বহু এলাকা। উপত্যকার অন্যান্য অংশের সঙ্গে কুপওয়ারার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। জলস্তর বাড়তে থাকায় ৩৩৬টি পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।
সিলু কুপওয়ারায় পোহরু নালা বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। এটি ঝিলামের একটি শাখানদী। এই নালা উপচে পড়ায় সিলু কুপওয়ারার বহু গ্রামে জল ঢুকেছে। জলের তলায় চলে গিয়েছে কুপওয়ারা হাইওয়ের একাংশ। অন্য দিকে, ধসের জেরে শ্রীনগর-জম্মু জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ধস সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। তবে যান চলাচল থমকে রয়েছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি এবং তুষারপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তবে বুধবার থেকে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তুষারধসের ঘটনা ঘটেছে সোনমার্গে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, রামবান জেলার মেহর, গঙরু, মোম পাসি এবং কিস্তওয়ারিতে ভূমিধসের জেরে রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, জম্মুর পুঞ্চ এবং রাজৌরি জেলার সঙ্গে কাশ্মীরের শোপিয়ানের সংযোগকারী রাস্তা মুঘল রোড, পীর কি গলিতে ভারী তুষারপাতের জেরে গত তিন দিন ধরে রাস্তা বন্ধ।